বিডি নীয়ালা নিউজ(১০ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ রাজধানী ঢাকার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নদী বুড়িগঙ্গা।আজ থেকে ৪০০ বছর আগে এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল ঢাকা।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই বুড়িগঙ্গা নদী এখন বিলুপ্তির পথে।
নদীর দুই কূল ঘেঁষে অবৈধ ভাবে দখলের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে উঠছে, কমছে প্রশস্ততা।
রাজধানীর পোস্তগোলা আর শ্যামপুর এলাকার বুড়িগঙ্গার দু’পাড়ে দখলদাররা বিভিন্ন কায়দায় বিশাল এলাকা দখল করে গড়ে তুলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বুড়িগঙ্গার দুই পাড় দখল করে চলছে ইঁট বালুর জমজমাট ব্যবসা।
পোস্তগোলার শ্মশানঘাট এলাকায় নদীতে ড্রেজার লাগিয়ে বালু তোলা এবং বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে বালু বেচা কেনা চলছে। এই বালু দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন এমন একজনের কাছে জানা গেল এখানে বালু বেচা কেনা হয় চার পাঁচ বছর ধরে।
নদীর চারপাশে সিমেন্টের তৈরি ছোট ছোট পিলার আছে যা কিনা বুড়িগঙ্গার সীমানা নির্ধারণ করেছে ।
“সরকার যদি নদী রক্ষায় আন্তরিক থাকে তাহলে নদী দখল হবে না। যেমন আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠান নদীর মধ্যে করি। তারপর দখলদার হয় বড় বড় প্রভাবশালী যারা। আর উচ্ছেদের প্রক্রিয়ায় দেখা যায় ছোট সবজি ব্যবসায়ী ওদের উচ্ছেদ করা হয় দ্রুততার সাথে। কিন্তু কোন বড় ফ্যাক্টরি বা বড় দখলদার আজ পর্যন্ত উচ্ছেদের কোন নজির আমরা দেখিনি।”
‘বিআইডব্লিওটিএ’এর পোর্ট অ্যান্ড ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর শফিকুল হক বললেন, “আমাদের যে পোর্ট লিমিট আছে নদীর সীমানার পরেও ১৫০ ফিট, সে জায়গাটায় কোনো কিছু ডেভেলপ করতে হলে ‘বিআইডব্লিওটিএ’ এর পারমিশন নিয়ে করতে হয়। যদি কেউ এই ধরনের ব্যবসা করে আমরা তাদের উচ্ছেদের মাধ্যমে উঠিয়ে দেই। পরবর্তীতে যদি কেউ না শুনে তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিয়ে ফৌজদারি মামলা করে থাকেন।”
তবে এই নদীর পাড়ে যারা বড় হয়েছেন তারা এখনো বিশ্বাস করেন যে বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকা বাঁচবে।