কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: দুটি পদে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী কিশোরগঞ্জের দক্ষিণ বাহাগিলী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার শামছুল আলম এর বিরুদ্ধে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দুটি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে চিঠি প্রকাশ হলে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠে। এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার মুখোমুখি হয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সরেজমিনে ওই প্রতিষ্ঠানে গেলে জানা যায়, সুপারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের আলোচনা ও সমালোচনার কথা। জানতে চাইলে এলাকাবাসি জানায়, উক্ত মাদ্রাসায় নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। নাম না বলা শর্তে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার সভাপতি তোজাম্মেল হক ও সুপার মাওলানা শামসুল আলম যোগসাজসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেছে। অন্য দিকে মাদ্রাসাটির জমি দাতা আব্দুল করিম জানান, আমাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে জমি নিয়েছে সুপার। দাতা সদস্য করার কথা থাকলেও জানিনা রাতারাতি কিভাবে কখন, কোথায় ম্যানেজিং কমিটি হয় কিছুই জানিনা। আমার ছেলেকে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা, কিন্তু সুপার তার নিজেস্ব ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গণমাধ্যমকর্মিসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের ভীড় জমাতে থাকলে। জানতে পারলাম গোপনে নাকি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, এলাকার কেউ জানে না।আরেকজন জমিদাতা মোহাম্মদ আলী বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অনিয়ম দূর্নীতিসহ নানান অভিযোগ আছে তার সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বাজারে মুদিও দোকানি ছকিনুর ইসলামসহ অনেকে বলেন, মাদ্রাসার সুপার মাদ্রাসাটিকে নিজের বাপদাদার সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত করে, কাউকে তোয়াক্কা করেন না। নিয়োগ হয়েছে কিনা কেউ জানেন না বলে জানান তাঁরা। এ ব্যাপারে ০১৭৫১৪৭৬৬০৫ নাম্বারে মাদ্রাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নুরুল আমিন শাহ্ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে ডিজির প্রতিনিধি মোছাঃ মেহেরুন নেছা জানান, আমি মিটিংয়ে আছি,পরে কথা হবে।
