ডেস্ক রিপোর্টঃ টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের মহাসম্মিলন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। টঙ্গীর তুরাগতীরে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব যোগ দিতে ইজতেমা ময়দানে সমবেত হচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। আর শুরুর দিন শুক্রবারই অনুষ্ঠিত হবে দেশের সর্ব বৃহৎ জুম্মার নামাজ। ইজতেমাকে সামনে রেখে লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে তুরাগ নদের পূর্বতীর। ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে চার দিন বিরতি দিয়ে শুরু হচ্ছে এই শেষ পর্ব।  আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের ইজতেমা। ইতোমধ্যে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতিরকাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ নদে ৭টি ভাসমান পল্টুন সেতু নিমার্ণ করেছেন।

১৬০ একর জমির ওপর নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলের সবধরনের কাজ আগেই শেষ করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো মাঠে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক ১৮০টি বিশেষ ছাতা মাইক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের ফেলে যাওয়া ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় রাজধানী ঢাকাসহ ১৬টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নিবেন। বিদেশি মেহমানরাও আসছেন। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে আইনশৃংখলা জোরদারের লক্ষ্যে ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, এ পর্বেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। এ ছাড়া চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব বিভাগ তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও সমানসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।  নিরাপত্তা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরা রয়েছে।  এ ছাড়া প্রতিটি খিত্তায় গোয়েন্দা পুলিশ অবস্থান করবে।

বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি গিয়াস উদ্দিন বলেন, এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে গতকাল বুধবার থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে অনেক বিদেশি মুসল্লি এসেছেন। তিনি বলেন, এ পর্বেও বাংলায় মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. জোবায়ের। এর আগে বাংলায় হেদায়েতি বয়ান করা হবে।

 

 

 

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে