পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাবার আশায় মানবাধিকার সংগঠনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আশির্ধ্ব সুফিয়া খাতুন। তার দাবী রাজধানীর তুরাগে অবস্থিত বামনারটেক এলাকায় ২০ (বিশ) শতাংশ জমির মালিক তিনি। সেই সাথে ওয়ারিশসূত্রেও সেখানে বেশ পরিমান জমি রয়েছে তার। সুফিয়া খাতুনের অভিযোগ, অলি মাদবর নামক জেঠাতো ভাইয়ের দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে এসব সম্পত্তি জবর দখল হয়ে রয়েছে এবং এসব সম্পত্তিতে আলিশান অট্টলিকা নির্মাণ করে রেখেছেন জেঠাতো ভাইয়ের সন্তানরা। জমির হিসেব চাইতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এমনকি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে সুফিয়া খাতুন ও তার ছেলেদেরকে। এ বিষয়ে প্রতিকার চাইতে আদালত পর্যন্ত যাওয়ার সামর্থ্য না থাকায় ছেলেদেরকে নিয়ে তাই দ্বারস্থ হয়েছেন আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন নামক একটি মানবাধিকার সংগঠনের কাছে।

সুফিয়া খাতুন ও তার সন্তানদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি তুরাগের বামনারটেক এলাকায় অবস্থিত অলি মাতুব্বরের বাড়িতে একটি শালিস বৈঠকের আয়োজনে হাজির হয়েছিল মানবাধিকারকর্মীরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে আবারও উভয় পক্ষকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন নামক সংস্থাটির ঢাকা জোনের দায়িত্বে থাকা মুহাম্মদ লোকমান।

সুফিয়া খাতুন ও তার সন্তানদের অভিযোগ, জাল দলিলের মাধ্যমে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সম্পত্তি ফিরে পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে সুরাহা চাওয়ায় সুফিয়া খাতুনের পুত্র মো. জাফরের উপর ক্ষিপ্ত হওয়া, এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জাফর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৪ জুন ২০২১ তারিখে গাজীপুর সদর থানায় দায়ের হওয়া জিডি কপিও সংযুক্ত করেছেন (জিডি নং- ১৩৬১)।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জনৈক অলি মাতুব্বরের ছেলে আব্দুল আজিজের কাছে জানতে চাইলে সবকিছু বানোয়াট বলে দাবী তার। আজিজের ভাষ্য ‘উনি (সুফিয়া খাতুন) যেই ওয়ারিশটা পাইছিল, উনি নিজেই বিক্রি করে গেছে।’ সম্পত্তিগুলো কার কাছ থেকে কেনা হয়েছিল? জানতে চাইলে আব্দুল আজিজ বলেন, ‘উনার (সুফিয়া খাতুন) থেকে কিনছি, আমার দাদীর থেকে কিনছি, আমার দাদার থেকেও কিনছি।’

এদিকে, সুফিয়া খাতুনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থাটির ঢাকা জোন প্রধান মুহাম্মদ লোকমান।

U/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে