ডেস্ক রিপোর্টঃ বিশ্বের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা মহানগরীর পরিচ্ছন্নতায় সকল নাগরিককে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘এই ঢাকা নগরীর পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব কেবল একা মেয়র বা তার কর্মীবাহিনীর পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন নাগরিক সমাজের সচেতন সহযোগিতা।’
গুলশানে সড়ক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ‘অ্যাডপ্ট এ রোড’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, নগরীর রাস্তাঘাট ও নর্দমাসমূহের সংস্কার সাধনে ডিএনসিসি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রায় প্রতিটি রাস্তাই চওড়া হচ্ছে। গুলশানের বাসিন্দারা এখন অনেকেই অবাক হচ্ছেন তাদের ভবনের সামনের রাস্তার প্রশস্ততা দেখে।
ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করাসহ অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ডিএনসিসি’র উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি রাজউকের কর্মতৎপরতারও প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়কের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গের মাঝে সনদ প্রদান করা হয়।
গুলশান সোসাইটির মহাসচিব ব্যারিস্টার ওমর সাদাতের সঞ্চালনায় ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজউক’র চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর আব্দুর রাজ্জাক ও বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূঁইয়া ডিলন।
গুলশান লেক পার্ক অ্যাম্ফিথিয়েটারে ডিএনসিসি মেয়র আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসি এবং গুলশান সোসাইটির মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুসারে প্রথম পর্যায়ে গুলশানের ৭০টি অভ্যন্তরীণ সড়কের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
গুলশান সোসাইটির নিযুক্ত ১শ’ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সড়কগুলো পরিচ্ছন্ন করা হবে। ডিএনসিসি’র বর্জ্যবাহী গাড়ি সংগৃহীত সড়ক বর্জ্য পরিবহন করে ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাবে। এ কার্যক্রম পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে ডিএনসিসি’র উদ্যোগকে সহায়তা করবে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে