আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান। তিনি দীর্ঘদিন থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার সাথে সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি কু-চক্রীমহল পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে তাকে বিএনপি জামাতের সাথে জড়িত বলে নানা ধরনের অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের স্থানীয়রা বলছেন, আব্দুল লতিফ খানের পুরো পরিবার বংশীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। এবার তিনি দলীয় প্রতিক পাবে দেখেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার নামে গুজব ছড়াচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল লতিফ খানের পিতা মঙ্গল খান। লতিফের ছোট ভাই আব্দুল মতিন খান পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে।

ওই এলাকার মোশারফ হোসেন বলেন, অত্র পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নে নৌকার প্রতীক পাওয়ার যোগ্য একমাত্র লতিফ চেয়ারম্যান। এমনকি সে যদি নৌকা প্রতিক নাও পায় তবুও সে আবার অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। কারণ তিনি তার কাজের মাধ্যমেই এলাকাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। আর আমরাও চাই তিনি যেন পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সূত্রমতে জানা যায়, ১৯৮৯ইং সালের ১৮ই মে তৎকালিন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান। ১৯৯১ইং সালের ১৯শে জুন তারিখে ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে আবার তিনি সহ-সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন।
১৯৯১ইং সালে তৎকালিন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিপন পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান ছাত্রলীগের সাথে জাড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, সে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। ছাত্র রাজনীতিতে প্রতিটি মিছিল মিটিং আন্দোলন সংগ্রামে লতিফ ছিল একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে মাঠে ছিল। এবং তৎকালিন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে তার নামে ১২ টি মামলা জলঢাকা কোর্টে হয়।
তৎকালিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, জানি না কারা কি স্বার্থে তার নামে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আমি বলবো লতিফ চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। সে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আব্দুল লতিফ খান ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দুই বার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি ১৯৯১ইং সালে জেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিলে ১৯৯১ইং থেকে ১৯৯৭ইং সাল পর্যন্ত নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী ও ২০১৮ইং সালের ৩০শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি সদ্য ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ কামাল বলেন, লতিফ চেয়ারম্যান খুব ভালো একজন চেয়ারম্যান তিনি দীর্ঘ ১৮-২০ইং বছর থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া লতিফ চেয়ারম্যানের পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার। তারা বংশগত আওয়ামী লীগ হওয়ায় আমরা চাই সামনের ইউপি নির্বাচনে তিনি যেন নৌকার মাঝি  নির্বাচিত হন।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে খুব ভালো মানুষ লতিফ। আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের জনগন পুন:রায় তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। তাই আমরা চাই তিনি যেন এবারের নির্বাচনে মার্কা হিসেবে নৌকা পান।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ খান বলেন, আমরা বংশগতভাবেই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আমি দেখে আসছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে এসেছে আমার পিতা। আমিও বড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করি।আমি ১৯৮৯ইং সাল থেকে ১৯৯৫ইং সাল পর্যন্ত নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগ ও ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।
এছাড়া আমি তিন বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছি। আসলে আমার বিরুদ্ধে একটি কু-চক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি এটির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে