ডেস্ক রির্পোট: দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস রোগীর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে ডায়াবেটিস রোগীদের গুণগত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।  পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতাও বাড়বে।  বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নভো নরডিস্কের সহযোগিতায় রোগীদের ডিজিটাল নিবন্ধনের কাজটি সম্পন্ন করবে ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
 এই প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে রোববার ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান ও নভো নরডিস্কে’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেডরিক কিয়ার এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ঢাকা ক্লাবে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আজাদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক কোনো সংখ্যা বা এ সংক্রান্ত জরিপের উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। দেশজুড়ে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগীর সংখ্যাই শুধু নয়, একটা সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। ডিজিটাল নিবন্ধনের ফলে দেশে বসবাসকারী রোগীদের রক্তে গ্লু-কোজের মাত্রা, তিন মাসের গ্লু-কোজের গড় হিসাব (এইচবিএওয়ানসি) জানা যাবে। একইসঙ্গে রোগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সহজে সমাধান করা সম্ভব হবে।
এ সময় বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্কের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেডরিক কিয়ার বলেন, ‘ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য এর গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরি। পুরো পৃথিবীতে এই রোগ যাতে মহামারী আকার ধারণ করতে না পারে তার পেছনে ৯০ বছরের ও বেশি সময় ধরে কাজ করছে নভো নরডিস্ক।’
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে এসডিজি অর্জনের বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে জাতিসংঘ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের মধ্যে ডায়াবেটিসকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এখন প্রায় ৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগীর বসবাস। ২০৪৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন হবে। বাংলাদেশে শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৯৭ হাজার ৬৪১ জনের মৃত্যুর কারণ ডায়াবেটিস। যদিও ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগের কারণে অকাল মৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়েছে।
J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে