trump

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গতকাল সোমবার টেলিফোনে আলাপ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তারা ‘রুশ-মার্কিন’ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
ক্রেমলিন বলেছে, টেলিফোনে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সাফল্য কামনা করেছেন পুতিন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়তে চান। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় পুতিনের প্রশংসাও করেছিলেন।
ক্রেমলিন জানায়, টেলিফোনে আলাপকালে পুতিন ও ট্রাম্প সিরিয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা একমত হন যে বর্তমান ‘রুশ-মার্কিন’ সম্পর্ক ‘একেবারেই সন্তোষজনক নয়। এই সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজও করতে হবে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারেও একমত হন এ দুই নেতা।
তারা ২০১৭ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ২১০ বছর উদযাপনের ব্যাপার নিয়েও আলোচনা করেন।
দুই নেতা মাঝে মাঝে টেলিফোনে কথা বলা এবং পরবর্তীতে কোন এক সময় ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
ক্রেমলিন কে কাকে ফোন করেছিলেন তা স্পষ্টভাবে জানায়নি। তবে ট্রাম্পের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ক্রেমলিন থেকেই ফোনটি এসেছিল এবং পারস্পরিক হুমকি ও চ্যালেঞ্জ এবং কৌশলগত অর্থনৈতিক বিষয়সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প বলেছেন তিনি রাশিয়ার সরকার ও দেশটির জনগণের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করে নেতা হিসেবে তাকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রেখেছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, নেতা হিসেবে ওবামার চেয়ে অনেক অনেকগুণ এগিয়ে পুতিন।
ওই সময় পুতিনও ট্রাম্পকে অসাধারণ ব্যক্তি ও সন্দেহাতীত মেধাবী মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। মার্কিন নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পরপর রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনগুলোতে ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলা হয়, জনগণের নেতার জয় হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও ইরানের মত বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলেও সিরিয়া ইস্যুতে তারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
মস্কো সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর ওয়াশিংটন সমর্থন দিচ্ছে বাশার বিদ্রোহীদের। তবে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস মিলছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে