ডেস্ক রিপোর্টঃ টেকসই উন্নয়নের জন্য মানবিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় উন্নয়নের সুফলতা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। মহাত্মা গান্ধীর ১৪৮তম জন্মজয়ন্তী এবং আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উপলক্ষে শনিবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আলোচনায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হলে মানবিক সমাজ গড়া একান্ত জরুরি। আর মানবিক সমাজ ব্যবস্থা গড়তে না পারলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। এজন্য গান্ধীজির দর্শন নতুনভাবে বিশ্লষণ করা প্রয়োজন।’
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে গান্ধী দর্শনের বাস্তবায়ন : বর্তমান প্রজন্ম কি ভূমিকা রাখতে পারে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আশ্রমের চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশ্রমের সেক্রেটারি ঝর্ণা ধারা চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইএনডিপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা ট্রিবিউন প্রকাশক ড. কাজী আনিস আহমেদ, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব দ্রং, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. সামিয়া হক, ডেইলি স্টারের স্টার ইয়ুথ সম্পাদক এলিটা করিম ও হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ইন্সটিটিউটের পরিচালক ব্যারিস্টার রিজওয়ানা ইউসুফ।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলনটাই ছিল একটি অহিংস এবং গান্ধীবাদী আন্দোলন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহবান জানান।
সভায় বক্তারা বলেন, গান্ধীজির মুল চিন্তার মধ্যে যে অহিংসা, সত্য, সার্বজনিনতা, বহুত্ববাদ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলো ছিল, তা প্রতিষ্ঠা হলে, সমাজের যাবতীয় বিশৃংখলাকে মোকাবেলা করা সম্ভব।
তারা বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতা প্রদর্শন করেছেন, গান্ধীজি বেঁচে থাকলে নিঃসন্দেহে এটাকে সমর্থন দিতেন।

 

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে