চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পরিণতি ‘শুভ হবে না’ বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।  

 মঙ্গলবার(৩১আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী জ্ঞানশূন্য হয়ে এখন নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের লাশ, মাজার এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান নিয়ে আপত্তিকর, নির্মম, নিষ্ঠুর ও ঘৃণ্য মিথ্যাচার করছে। প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহেই এবং তার গুডবুকে থাকার জন্যই পারিষদবর্গ পাগলের প্রলাপ বকছেন। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার, বিশোদগার, চরিত্র হনন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি। মিথ্যা প্রলাপকারী এসব মন্ত্রী-নেতাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তারা কোন সেক্টারের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, শহীদ জিয়ার লাশ সরানোর মতো যদি নিকৃষ্টতম কাজ করানো হয়, তাহলে যারা এই কাজটি করবেন তাদের কালো হাত ভেঙে যাবে, গুঁড়ে যাবে, পুঁড়ে যাবে।  

জিয়াউর রহমানের লাশ, ডিএনএ টেস্টসহ চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে তার কবর অপসারণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রিন্স বলেন, একজন মন্ত্রী কতটা আদবের বরখেলাপ করলে এমন বক্তব্য রাখতে পারে তা জাতির কাছে সহজেই অনুমেয়। এখন যদি কেউ প্রখ্যাত উপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাসের ৮৫ পাতায় বর্ণিত স্বাধীনতা পরবর্তিকালে টঙ্গি ব্রিজের নিচে ধর্ষিতা নারীর ডিএনএ টেস্টের কথা বলেন তাহলে সেই দাবিকেও কি উপেক্ষা করা যাবে?

প্রিন্স বলেন, আমরা বলতে চাই, শহীদ জিয়া, তার নেতৃত্বাধীন জেড ফোর্স, সেক্টরের সাহসী ও গৌরবময় অবদান নিয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যাচার যারা করছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে, জাতি তাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে।  

জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট কলকাতায় আমোদ-প্রমোদকারীদের কাছে থেকে নিতে হবে না। জিয়ার সার্টিফিকেট তিনি নিজেই, শহীদ জিয়ার সার্টিফিকেট বাংলাদেশের আপামর জনগণ। শহীদ জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রী, বর্তমান ও সাবেক নৌ মন্ত্রীসহ আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতাদের রুচিহীন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন লাগামহীন মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা ধিক্কার জানাই ও প্রতিবাদ জানাই।  

সংবাদ সম্মেলনে দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে