এম ডি বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ রাউজানের কাপ্তাই সড়কের ব্রাহ্মণ হাটের উত্তর পাশে গরীবুল্লাহ পাড়া গ্রামীণ রাস্তাটি বিধবস্ত অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘ বছর যাবত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটি গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে রাস্তাটি ব্রাহ্মণ হাটের উত্তর দিকে হয়ে এক কিলোমিটার গিয়ে মসজিদ
ওখান থেকে বিভক্ত হয়ে পূর্বদিকে এক কিলোমিটা এবং উত্তর দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি।

এই গরীবুল্লাহ পাড়া গ্রামে প্রায় ৮১৭ পরিবারের বসবাস বলে জানা গেছে এবং মসজিদ মাদ্রাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এই এলাকার কোন অনুষ্ঠানে গাড়ির সংযোগ খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে বলে জানান এক পথচারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ড্রাইভার বলেন আমরা সব জায়গায়ক ভাড়া মারতে পারি কিন্তু এই গরীবুল্লাহ পারার কথা শুনলে আমাদের গাঁ শিউরে ওঠে যার কারণে আমাদের ওখানে ভাড়া নিয়ে যেতে পারিনা রাস্তাটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সওদাগর বলেন আমরা গরীবুল্লাহ পাড়াবাসী অত্যন্ত লজ্জিত আমরা কাউকে এই রাস্তাটির জন্য মুখ দেখাতে পারি না কাউকে দাওয়াত করতে আমরা সংকোচ করি কেননা আমাদের রাস্তাটি খুবই খারাপ বহিরাগত দূর-দূরান্ত থেকে আগত অতিথিদের এই রাস্তাটি চোখে পড়লে আমরা খুবই লজ্জিত হয়ে পড়ি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত এই রাস্তাটি বিধ্বস্ত অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে যা দেখার কেউ নাই তিনি মন্তব্য করেন এই গ্রামে তিনটি ইউনিয়ন

সীমান্ত হয়ে পড়ায় আমরা খুবই কষ্টে আছি কার কথা কে শুনে জানা গেছে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পূর্ব সীমান্ত
বাগোয়ান ইউনিয়ন উত্তর সীমান্ত পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন দক্ষিণ সীমান্ত। এই গ্রামে ইউনিয়ন প্রার্থীরা নির্বাচন আসলে সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় যে নির্বাচিত হলে আমি এই রাস্তাটি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাবো কিন্তু নির্বাচন শেষে আর মনে থাকে না বলে জানান ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ। সময় স্বল্পতার কারণে ৩ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করা এবং মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতে না পারায় তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ওই এলাকার মানুষ চট্টগ্রাম রাউজানের সংসদ সদস্য গণমানুষের নয়ন মণি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ওই এলাকার সাধারন জনগন তারা বলেন বর্তমান সরকারের সময় চতুর্দিকে গণজোয়ার উন্নয়নমুখী কার্যক্রম চলছে কিন্তু আমাদের এই গরীব উল্লাপাড়া অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে একটি রাস্তার জন্য চতুর্দিকে উন্নয়নের রূপকারের দেখা মিলছে আর আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল যুগে এসেও আমরা উন্নয়নের কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে পড়ে আছি এ যেন মরণফাঁদে বসবাস করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে