ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জরুরি কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৪ মে) রাজধানীর গ্রিনরোডে যৌথনদী কমিশনের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সভায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এ সিদ্ধান্ত নেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বাঁধ মেরামতের জরুরি কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। সেলক্ষ্যে আগামী ৩০মে-র মধ্যে সকল নির্বাহী প্রকৌশলীদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্র সরেজমিন পরিদর্শন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পোল্ডারসমূহের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

সভার পর্যবেক্ষণে জানানো হয়, উপকূলাঞ্চলে ব্যাপকভাবে শস্যহানি হয়নি, তবে প্রায় এক লাখ লোক পানিবন্দি, যার মূল কারণ পানি নিষ্কাশন অব্যবস্থাপনা ও পুরাতন বাঁধ। এছাড়া খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত ২২ ও ২৩ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত তিন জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট পরিদর্শন করেন পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং সেনাপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেন তিনি। আজ ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসনের এই সভায় পানি সচিব তার সফর সম্পর্কে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর সামনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

আগামী ২৭ মে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর এলাকা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে গত ২২ মে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করেন।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে