কাওছার হামিদ,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)॥ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, সারাদিন কোন সূর্যের দেখা মেলেনি। মানুষের গায়ে শীতের কাপড় মোড়ানো লক্ষ্য করা গেছে। ঘন কুয়াশার ফলে সড়ক মহা-সড়ক গুলোতে দুরপাল্লার যানবহন গন্তব্যে পৌঁছিতে অনেক দেরি হয়েছে। রাস্তাঘাটে এমনিতেই যানবহন কমছিল। ঘন কুয়াশার কারনে শ্রমজীবি মানুষেরা তাদের কাজ কর্মের অনেকটা ব্যঘাত ঘটেছে ফলে তাদের জীবন জীবিকার মাঝে নেমে এসেছে চরম হতাশা। গরীব অসহায় ছিন্নমুল খেটে খাওয়া মানুষ এই প্রচন্ড শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। তাই শীতবস্ত্রের অনেক প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে। সরকারি ভাবে যে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রচন্ড শীতে শুধু মানুষ নয় প্রাণী কুলের অবস্থা একেবারেই কাহিল হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্যের দাম বাড়িয়ে গেছে। এই শীতে বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু বাচ্চাদের নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে যেমন শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া। হাসপাতাল গুলোতে শিশু বাচ্চাদের নিউমোনিয়া ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। প্রচন্ড শীতে সন্ধা হলেই হাট বাজার গুলোতে জনশূণ্য হয়ে যায়। শ্রম জীবি দিনমজুর শ্রেণির অনেক মানুষ জানিয়েছেন শীতে কাজ করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। প্রচন্ড শীত থেকে রেহাই পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে ছিন্নমুল মানুষেরা আগুন পোহাচ্ছে। এই প্রচন্ড শীতে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল ধরনের কর্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে