মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ ২১ আগষ্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বেগম আইভি রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।

আইভি রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সদস্য সচিব লায়ন মশিউর আহমেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রিদি, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, আইভি রহমান পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান খোকা, মো. রোকনউদ্দিন পাঠান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু দুঃস্থ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মাহবুব হোসেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ঢাকা মহানগর সভাপতি নুরুজ্জামান ভুট্টো, অন্তরা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনা ছিল- রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। তৎকালীন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের মদদে গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ কে হত্যা করা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের সন্ত্রাসের ঘটফাদার খ্যাত তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভি রহমান সহ অন্যান্য নেতা কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলার প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তারাই জজ মিয়া নাটক সাঁজিয়েছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনায় জরিতের চিহ্নিত করে আদালতে সাজার রায় হয়েছে। শীঘ্রই অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করা হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে