মারুফ সরকার , বিনোদন প্রতিবেদক : মাত্র ক’দিন আগেই এক সাক্ষাৎকালে জানিয়েছিলেন ‘চলচ্চিত্রে সময় দিতে চাই’। চিত্রপুরীর স্বপ্নে বিভোর থাকা নবাগত চিত্রনায়িকাদের এমন ভাবাবেগপূর্ণ বাৎচিৎ নতুন কিছু নয়, তারপরও নায়িকাসুলভ শরীরী আবেদন স্বপ্নদোষ হয়ে প্রেক্ষাগৃহে ঝড় তুলবে এমন প্রত্যাশায় সিনেমা সাংবাদিকরা পরখ করছিলেন তার প্রতিটি পদক্ষেপের।

বলছি মৌ খানের কথা। মডেল হিসেবে শোবিজে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বড় পর্দায় অভিষেক হয় মোহাম্মদ আসলাম পরিচালিত ‘প্রতিশোধের আগুন’ চলচ্চিত্র দিয়ে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সুজন বড়ুয়া পরিচালিত ‘বান্ধব’। অপরদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করলেন মৌ। শাহীন সুমন পরিচালিত ‘মাফিয়া’ গল্প নির্ভর ওয়েব সিরিজ। বর্তমান ব্যস্ততা প্রথম ছবির নির্মাতা মোহাম্মদ আসলামের আরও একটি ছবিতে। ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। বেশ মনোযোগী সেটে গিয়ে সেটাও দেখা গেছে। এরমধ্যে ইন্ডাস্ট্রির কুশলী নির্মাতা শিল্পী চক্রবর্তীর একটি ছবি শুরু করতে যাচ্ছেন। ডেডিকেশন বিবেচনায় তিনি মৌ খানকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে জন্য প্রয়োজন ছিলো সরাসরি কথা বলে সব ঠিকঠাক করার। একবার দুইবার তিনবার সময় দিয়ে বসিয়ে রেখেছেন শিল্পী চক্রবর্তীকে। ব্যাপারটা হজম করতে পারেননি গুণী এই নির্মাতা। বিরক্তির সুরে হতাশার কথা জানিয়ে বলেছেন ‘তিনি এখন মহাব্যস্ত’।


তবে এফডিসিতে আড়ি পেতে শোনা গেছে ভিন্ন কথা। মৌ খান নবাগত চিত্রনায়িকা হলেও এখনও অন্যসব নায়িকাদের মতো গাড়ি কিনতে পারেননি। এ নিয়ে সব সময় এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন। শোনা গেছে প্রথম পরিচয়ে সবাই তাকে গাড়ি আছে কিনা জানতে চায় এতে রীতিমত বিব্রতবোধ করছেন উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের এই আবেদনময়ী। লক্ষ্যস্থির করেছেন যে করেই হোক চলতি মাসের শেষদিকে গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে এফডিসিতে ঢুকবেন। ইতিমধ্যে সে লক্ষ্যে ড্রাইভিংটাও রপ্ত করেছেন বলে ঘনিষ্ঠ মাধ্যম জানিয়েছে। আর সে লক্ষ্যপূরণে সেলুলয়েডে উল্লেখযোগ্য কাজ না থাকলেও ২৪ ঘণ্টা হাড়ভাঙা খাঁটুনি খাঁটছেন। শরীর চাঙা রাখতে কখনও কখনও পানপেয়ালায় গলা ভেজাচ্ছেন। তবে পেটে বেশি পড়ে যাওয়া দিন দুটোর আগে আড়মোরা ভেঙে বিছানা ছাড়তে তার বেশ কষ্ট হচ্ছে। ওপাশে বিকাল থেকে রাত অব্দি প্রচুর কাজ। কাজ করলেই টাকা। টাকা হাতে এলেই মিলবে গাড়ি, স্ট্যাটাস। নায়িকা তকমায় পারিশ্রমিকও হবে আকাশ ছোঁয়া।


এ নিয়ে মুঠোফোনে মৌ খান দুপুর সোয়া একটায় বলেন, মাত্রই ঘুম থেকে উঠলাম। শরীরটা খুব খারাপ যাচ্ছে। গাড়ি কিনতে যাচ্ছো শুনলাম এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না ভাইয়া কারা এসব রটায়?
তবে কানাঘোঁষায় মৌ খানের এমন জীবনাচারকে ধ্বংসের কারণ বলেও ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন। তাদের ভাষ্য, গাড়ির পেছনে রেস না দিয়ে ওর উচিৎ কাজের পেছনে রেস দেওয়া তাহলেই একদিন গাড়ি-বাড়ি-স্ট্যাটাস ওর পেছনে আসবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে