এদিকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সংঘর্ষে আহত বৈশাখী পরিহনের এক শ্রমিককে লেগুনায় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে। অবশ্য শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের ছোড়া গুলিতে ওই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তবে তাদের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় দুই চালকের সাজার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে আকস্মিক এই পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। মঙ্গলবার গবতলীতে আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে দিনভর অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখানোর পর রাতে গাড়ি ভাঙতে বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাতের পর সংঘাতের পর বুধবার সকালে আন্দোলনরত শ্রমিকরা গাবতলীর আন্ডারপাস পেরিয়ে মসজিদের কাছাকছি অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে আমিন বাজার সেতুর দক্ষিণ দিক থেকে মাজার রোডের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টার্মিনালের কাছে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রেখেছে শ্রমিরা। এই গোলযোগের মধ্যে রাস্তার দুই পাশের সব দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। গাবতলী বাস টার্মিনাল ছাড়াও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে আছে শ্রমিকরা। সুযোগ পেলেই গলি থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা গেছে তাদের। পুলিশের সঙ্গে এই সংঘর্ষে শ্রমিকদের সঙ্গে কিশোর বয়সী অনেককেও দেখা গেছে। মিরপুর জোনের ডিসি মাসুদুর রহমান বলেন, “আমরা পরিস্থিতি শান্ত করে সাধারণ যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। পুরো এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।” বি/ডি/এন