আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজা সীমান্তে ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে ৫৫ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। বিগত বছরগুলোর মধ্যে সোমবারের এই সংঘাত ছিল সর্বাধিক রক্তক্ষয়ী। জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালু করার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনীদের বিক্ষোভ চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

এই সহিংসতায় ২ হাজার ৪শ’ ফিলিস্তিনী আহত হয়েছে।
জেরুজালেমের মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে এই সংঘর্ষ সহিংসতা ঘটে।  হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধিদল ও ইসলাইলের কর্মকর্তারা দূতাবাসটি উদ্বোধন করেছেন। ২০১৪ সালে গাজা সংঘাতের পর এটাই ছিল ইসলাইল-ফিলিস্তিনীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের দিন।নিহতদের মধ্যে আট শিশু রয়েছে।

হাজার হাজার ফিলিস্তিনী বিক্ষোভকারী সীমান্তের কাছে জমায়েত হয়। এ সময় তারা সৈন্যদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। জবাবে সৈন্যরা তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে বলেন, ‘আপনি ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।’
গাজা সীমান্তে দিনব্যাপী ফিলিস্তীনের মধ্যস্থিত জেরুজালেম থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরবর্তী এলাকায় এ গোলোযোগ সৃষ্টি হয়।

ইসরাইলি সৈন্যরা জানিয়েছে, ৪০ হাজার ফিলিস্তিনী এ বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে অংশ নেয়।
মিলিটারী আরো জানায়, তাদের একটি যুদ্ধ বিমান গাজায় হামাসের প্রশিক্ষণ শিবিরের পাঁচটি লক্ষ্য বস্তুতে হামলা চালায়। এর আগে একটি যুদ্ধবিমান ও একটি ট্যাংক হামাসের গুলির জবাবে তাদের দু’টি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ফিলিস্তিনের নেতা প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আব্বাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ আনেন। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ঘটনাকে ‘মানবাধিকারের ঘৃন্য লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।

হিউম্যান রাইট ওয়াচ একে ‘রক্ত স্থান বলে নিন্দা করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ই্ইউ) কুটনৈতিক প্রধান ফেডারিকা মোঘারিনি বলেন ‘আমরা আশা করবো যাতে করে এ ধরনের রক্তক্ষয়ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে।’ তবে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মুখপাত্র শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান ইসরাইলকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ ও ‘হত্যাযজ্ঞ’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি তিন দিনের শোক ও শুক্রবার ইস্তাম্বুলে বড় ধরনের বিক্ষোভের ঘোষণা দেন।
তুরস্ক আরো বলেছে, এঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইতো মধ্যেই গাজা সীমান্তে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের কয়েক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে গেছে। ৩০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ১০৯ জন ফিলিস্তিনী ইসরাইলের গুলিতে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ইসরাইলে কেউ হতাহত হয়নি। ফিলিস্তিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর জন্য সমালোচিত হয়েছে।
সীমান্ত বেড়ায় ইসরাইলের এ অনুপ্রবেশ সঠিক ছিল বলে ইসরাইল জানিয়েছে।

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে