এম ডি বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য রুখে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর ২০২১ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহবান জানান সুজন।

এ সময় তিনি বলেন করোনাকালীন সময়ে স্থবিরতা কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি যখন গতিশীল ঠিক সেই সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে তিনদিন ধরে সারাদেশে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনামূলক নেতৃত্বে দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে মূহুর্তে পরিবহন ধর্মঘটের নামে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েই যায়। তিনি বলেন পরিবহন মালিকদের যৌক্তিক কোন কারণ থাকলে তারা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে বর্ণিত বিষয়ে আলোচনা করতে পারতো। কিন্তু তা না করে অযৌক্তিকভাবে ধর্মঘটের নামে তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।

হঠাৎ করে তিনদিনের ধর্মঘটে দেশের যে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপন করে এদের পিছনের শক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানান তিনি। বর্তমান সরকারের আমলে নানামূখী পরিকল্পনার ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফিরে এসেছে। করোনা মহামারী কালীন সময়ে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের চলমান বিশাল উন্নয়নের যে অগ্রগতি সেটাকে কারা পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করতে চায় তাদেরকে চিহ্নিত করে খুঁজে বের করা এখন সময়ের দাবী। তিনি আরো বলেন কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পণ্য ও গণপরিবহন বন্ধ করে যারা দেশকে জিম্মি করতে চায় তাদের সাথে কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক ঘটনার কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা বের করতে হবে। এজন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন আদালতের নির্দেশনা ছাড়া এভাবে ধর্মঘটের নামে যাতে কেউ ভবিষ্যতে মানুষকে জিম্মি করতে না পারে সেজন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করার দাবী জানান সুজন।

এছাড়া ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে পরিবহন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কঠোর মনিটরিং রাখার অনুরোধ জানান তিনি। এক্ষেত্রে বিআরটিএকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন ভাড়া বৃদ্ধির নামে যাত্রীদের যাতে কোন প্রকার হয়রানি করা না হয় এবং গ্যাস ও পেট্রোল চালিত পরিবহনগুলো যাতে ভাড়া বৃদ্ধি করে জনগনকে ভোগান্তিতে ফেলতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। তিনি ডিজেল এবং সিএনজি চালিত পরিবহনগুলোকে আলাদা মার্কিং করার আহবান জানান ও ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান স্থানে রাখার দাবী জানান। এছাড়া দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পণ্য পরিবহন নিরবচ্ছিন্ন রাখার আহবান জানান তিনি। তাছাড়া পরিবহন নৈরাজ্য থেকে বাঁচতে বিজিএমইএসহ বিভিন্ন শিল্পগ্রুপকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলারও আহবান জানান সুজন। বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অবিলম্বে চলমান যাত্রী হয়রানির এসব নৈরাজ্য বন্ধ করার আহবান জানান তিনি। বিআরটিএ যদি এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে যাত্রী সাধারণের স্বার্থে নাগরিক উদ্যোগ জনগনকে সাথে নিয়ে এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে কাজ করতে বাধ্য হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে