ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনে রাজধানীর কর অঞ্চল-৮ থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সব ধরনের লেনদেনের তথ্য চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদিও ২০০৭ সাল থেকে খালেদার সব হিসাব জব্দ রয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার কর ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন ও নতুন করে কোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে তিনি লেনদেন করছেন কি-না তা জানতে তথ্য তলব করা হয়েছে। আয়ের সঙ্গে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি-না তাও খুঁজে দেখা হবে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

চিঠিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার নামে বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর ও সঞ্চয় অফিসে পরিচালিত ২০১০ সালের ১ আগস্ট থেকে চিঠি পাওয়ার দিন পর্যন্ত সব ধরনের লেনদেনের তথ্য পাঠাতে হবে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন কর অঞ্চল-৮-এর কমিশনার আবু তাহের চৌধুরী।

২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এবং উভয়ের পরিবারের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করে এনবিআর। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে জব্দ আদেশ প্রত্যাহারে আবেদন করা হলে তা নাকচ করা হয়। যদিও আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারেন- এমন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে ফের তার হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আহমেদ আজম খান বলেন, তিনি নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জব্দ অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে অনেকবার আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নতুন করে তথ্য চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যই এটি করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার জব্দ অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে বিভিন্ন সময়ে দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলন করে ও লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জব্দ আদেশ প্রত্যাহারের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। বরাবরই দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিথ্যা অভিযোগে খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এনবিআরের কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও আজ অবধি কোনো অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়নি। এটি যে কোনো নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

গা/ব/নি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে