joy-imran

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে (৮২) গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নেয়ার সমালোচনা করার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন গণজাগরণের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। একই সঙ্গে তাকে যে মিথ্যাবাদী ও সুবিধাবাদী বলে আখ্যায়িত করারও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ইমরান। এর জেরে রোববার সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুকে তাকে মিথ্যাবাদী, সুবিধাবাদী বলে আখ্যায়িত করে পাল্টা স্ট্যাটাস দেন। তিনি বিএনপির টাকা খেয়ে থাকতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন। এই অবস্থানের কারণে ডা. ইমরানকে সরকারের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান জয়।

জয়ের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইমরান এইচ সরকার রোববার রাতে  বলেন, ‘আমি জনগণের পক্ষে কথা বলেছি। বরাবরই বলি। অতীতেও খেয়াল করে দেখবেন আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার হয়েছি। আজ দেশে প্রতিপক্ষেরও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। তনু হত্যা কিংবা এরকম কিছু ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। কিন্তু বিচার বিভাগেও বৈষম্য। কোনো সাধারণ মানুষ হয়রানি কিংবা হামলার শিকার হলে তারা বিচার পাচ্ছে না। অথচ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা কোনো ঝামেলা বা দুর্নীতি করলে দ্রুতই তারা কাটিয়ে উঠতে পারছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা সাধারণের নয়,ক্ষমতাসীনদের।’

জয়ের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বরাবরই ক্ষমতাসীন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি। এই যেমন রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় আমরা অনেক বড় বড় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় হুমকি ধামকিও শুনতে হয়। কিন্তু যেহেতু সত্য ন্যায়ের পক্ষে আমার অবস্থান সেহেতু কোনো ব্যক্তির কথায় অন্যায়ভাবে ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

বিএনপির টাকা খেয়ে থাকতে পারেন- প্রধানমন্ত্রী পুত্রের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে ডা. ইমরান বলেন, ‘বিএনপির কাছ থেকে টাকা খাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ হাস্যকর। তার মতো (জয়) একজন ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে আসতে যাওয়া ব্যক্তির মুখ থেকে এমন বক্তব্য অনভিপ্রেত।’

জয়তো আপনাকে মিথ্যাবাদী সুবিধাবাদী বলে আপনাকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করার আহ্বানও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডা. ইমরান বলেন, ‘ফেসবুক বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের বড় মাধ্যম হয়েও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে মানুষের বৃহৎ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দেশে যখন একের পর এক অন্যায়-নিপীড়ন চলে তখন সরকার বা বিরোধী দল চুপ থাকলেও ফেসবুকে মানুষ প্রতিবাদ করে। নিজের মত প্রকাশ করে। বিগত দিনে ফেসবুকের মাধ্যমে গড়ে ওঠা তীব্র আন্দোলনগুলোই হয়তো উনাকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তাই হয়তো উনি আমার ফেসবুক বন্ধুদের এমন উপদেশ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন,‘শফিক রেহমান কোন দলের সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের দেখার বিষয় হচ্ছে- শফিক রহামান একজন সিনিয়র সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী। তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে- তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণ করেছেন। আর এই অপরাধে যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো তখন স্বাভাবিকভাবেই আমরা এর প্রতিবাদ করবো- এতে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

সূত্রঃ বাংলামেইল

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে