কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে সহায়তার পাশাপাশি মহামারীটির বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীগুলোর পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ ন্যায়সঙ্গতভাবে ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ তহবিলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন এবং সহজ প্রাপ্যতার জন্য আমি আনন্দের সাথে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিচ্ছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলোর কোভিড-১৯ মোকাবেলা এবং ন্যায্য ও সমতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই অর্থ প্রদান করছি।’
শনিবার ইউরোপীয় কমিশন ও গ্লোবাল সিটিজেন আয়োজিত ‘গ্লোবাল গোল: ইউনাইট ফর আওয়ার ফিউচার- দ্য সামিট’-এ ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন, পরীক্ষা ও চিকিৎসার উন্নয়নে অতিরিক্ত তহবিল জোগাড়ের লক্ষ্যে এ ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মোমেন আরো বলেন, বাংলাদেশ সব সময়েই সাম্য, ন্যায় ও জাতীয় মালিকানার নীতিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘যাদের এই সেবার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তারা যেন তা পান, একজনও যেন বাদ না পড়েন তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই প্রয়াস। বিশ্বের সবাই যেন সমতার ভিত্তিতে এই সেবা পায় সে লক্ষেই আমরা এই সহায়তা দিচ্ছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নজিরবিহীন সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাসনে থেকে দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের যে দায়বদ্ধতা আছে, আমরা তার প্রতি অবিচল থাকব এবং একই সঙ্গে আমাদের অন্য অংশীদারদের কাছ থেকেও দায়িত্বপূর্ণ আচরণের প্রত্যাশা করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, নিজভূমি থেকে উচ্ছেদকৃত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ‘আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’ বাংলাদেশ এদের আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি এই তহবিল গঠনের জন্য গ্লোবাল সিটিজেন’স ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেম কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় থেকেই ‘বিচ্ছিন্নভাবে নয়, বরং সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে’ এ ধরনের একটি উদ্যোগের পরামর্শ দিয়ে আসছিল।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা গার্ট্রুড ভন দার লিয়েনের সঞ্চালনায় ‘গ্লোবাল গোল: ইউনাইট ফর আওয়ার ফিউচার- দ্য সামিট’-এ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি, আইনজীবী, শিল্পী, অ্যাক্টিভিস্টরাও অংশ নেন।

bssn

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে