মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
বিরল ও দুর্লভ “কাইজেলিয়া” একটি চারা কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে  রোপন করা হয়। তথ্যে জানা গেছে এশিয়া মহাদেশে এ গাছটির সংখ্যা রয়েছে হাতে গনা কয়েকটি।
এরমধ্যে বাংলাদেশেই রয়েছে ২টি। কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিরল ও দুর্লভ “কাইজেলিয়া” যে গাছ ২টি রয়েছে তারও বয়স হয়েছে শত বছর। নান্দনিক কিশোরগঞ্জ গড়ি কর্মসূচির আওতায় আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারমাইকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ছাত্ররা এ বিরল ও দুর্লভ গাছটির চারা রোপন করেছে।
জানা যায়- “কাইজেলিয়া” বিরল ও দুর্লভ একটি গাছ। এ গাছটির আদি নিবাস আফ্রিকা মহাদেশের সেনেগালের দক্ষিণাঞ্চলে। আফ্রিকার বাহিরে এ গাছটির অস্তিত্ব খুব বেশি দেখা যায় না। এটি একটি ওষুধী গাছ।
কাইজেলিয়া ফল প্রক্রিয়াজাত করে আলসার, সিফিলিস, সাপে দংশন রোগীর ওষুধ, বাত, ছত্রাকদমন, চর্মরোগ ও মেয়েদের প্রসাধনী এমনকি ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এ গাছটির বংশ বিস্তার সহজ নয়। সে কাজটিও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের নিরন্তর চেষ্টায় কলম পদ্ধতিতে বংশ বিস্তার সম্ভব হয়েছে। ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলসহ দেশের কয়েকটি উদ্যানে কিছু চারা রোপন করা হয়েছে।

কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বেগম রোকেয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম এ গাছের চারাটি রংপুরের লামিয়া নার্সারী থেকে সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন। তিনি তার প্রিয় প্রতিষ্ঠানে এ বিরল ও দুর্লভ গাছটি লাগাবেন বলে। আজ শুক্রবার নান্দনিক কিশোরগঞ্জ গড়ি কর্মসুচীরর আওতায় এ গাছটি নিজে উপস্থিত থেকে কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাগিয়েছেন।

নানন্দনিক কিশোরগঞ্জ গড়ি’র আওতায় এ গাছটি ছাড়া ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জারুল, কৃষ্ণচুড়া, কাঠ বাদামের চারা লাগানো হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম, প্রেসক্লাব আহ্বায়ক আবু হাসান শেখ, সাংবাদিক আব্দুর রউফ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও প্রেসক্লাবের সাবেক আহ্বায়ক ফজল কাদির, প্রেস ক্লাব আহবায়ক আবু হাসান শেখ তনা, নান্দনিক কিশোরগঞ্জ গড়ির উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান, আনোয়ার,  প্রমুখ।

এর আগে কিশোরগঞ্জ থানাকে নান্দনিক থানায় রুপান্তরের জন্য ১২ টি জারুল, ৪ টি কৃষ্ণচুড়া ও ১ টি কাঠ বাদাম গাছের চারা রোপন করা হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর পুকুর পাড়কে সুসজ্জিত্ব ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য ১১ টি জারুল ও কৃষ্ণচুড়া গাছের চারাও রোপন করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে