কাওছার হামিদ,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আমীর আলীর ছেলে মাহুবার রহমান আগাম শীতকালিন মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রীড জাতের লাউ চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।

কৃষক মাহুবার রহমান জানান খরচ ও রোগ বালাই কম এবং লাভ বেশী হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাউ চাষে বেশী লাভবান হ্িচ্ছ। সরেজমিনে গিয়ে লাউ ক্ষেতে দেখা মিলে কৃষক মাহুবার রহমানের সাথে তিনি জানান ৪৫ শতাংশ জমিতে ১২হাজার টাকা খরচ করে ইতোমধ্যে ৫০হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছি।
তিনি আরো জানান প্রতি বছর অন্যান্য ফসলের চাষ না করে আগাম শীত কালিন হাইব্রীড জাতের লাউয়ের চাষ করলে বেশী লাভবান হওয়া যায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে লাউয়ের ব্যাপক চাহিদা ও দাম বেশী থাকায় লাউ বিক্রি করে ভাল লাভবান হয়েছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তার সবুজ লাউ ক্ষেতের মাচায় ৩/৫শতাধিক লাউ ঝুলছে। সবুজের সমারাহ লাউক্ষেত যেন তার কাছে কতই না আপন। এছাড়াও অধিকাংশ সময় তাকে লাউক্ষেতে পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য যে চারা রোপনের ৫০/৬০দিনের মাথায় লাউ গাছ গুলোতে লাউ আসা শুরু হয়েছে। একদিন পরপর লাউ ক্ষেত থেকে ১৫০/২০০টি লাউ উত্তোলন করে স্থানীয় বাজার তারাগঞ্জসহ অন্যান্য হাট বাজারে বিক্রি করে থাকেন। আর প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে পাইকারী মুল্য ২০/২৫ টাকা দরে।

কৃষক মাহুবার রহমান বলেন শীতের এই ভরা মৌসুমে এখনো মাস দুয়েক লাউ বিক্রি করা যাবে। শেষ পর্যন্ত আরো ৫০/৬০ হাজার টাকা লাউ বিক্রি করা যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। জানাগেছে মাহবার রহমান ছাড়াও একই ইউনিয়নে আরো একাধিক কৃষক লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন।

প্রতিনিধিকে আরো জানান চারা রোপনের প্রথম দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তিনি বাঁশের ছই তৈরী করে তার উপর পলিথিন লাগিয়ে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করেন। বৃষ্টি শেষ হলে পথিথিন নামিয়ে রাখেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান কৃষক মাহুবার রহমানসহ অন্যান্য কষককে আমরা উন্নত জাতের বীজ ও রোগ বালাই সম্পর্ক পরামর্শ দিয়ে আসিতেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে