আ,ফ, ম মহউিদ্দনি শেখ কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকে- নীলফামারীর  কিশোরগঞ্জ উপজেলার যৌতুক ঝড়ে তছনছ হতে চলছেে দিলরুবা আক্তার (২৫) নামে এক সন্তানরে গৃহবধুর সংসার । যৌতুক দিতে না পরেে স্বামী ও শাশুরীর নির্যাতনের স্বীকার ওই গৃহবধু সংসার টিকানোর জন্য উপায়ন্তর না পেয়ে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করছেন।

মিস পিটিশন মামলা নম্বর ৪৪৪
মামলার এজাহার সুত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালরে ১৪ এপ্রিল চাঁদখানা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে সাব্বির আহম্মেদ (৩৫) এর সাথে ধুমধাম করে বিয়ে হয় রণচন্ডি ইউনিয়নের বাজারপাড়া গ্রামের দবির উদ্দিনের মেয়ে দিলরুবা আক্তারের সাথে।

বিয়ের পর তাদরে সংসার জীবন ভালই চলছিল। এর মধ্যে তাদরে কোল জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। সন্তান জন্মের ৬ মাস পর থকেে স্বামী সাব্বির আহম্মেদ, শশুর সেকান্দর আলী, ও শাশুরী ছাদেকা পারভীন দিলরুবাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দিলরুবা তার বাবার কাছ থকেে যৌতুক বাবদ এক লাখ টাকা এনে দনে। এক লাখ টাকা পাওয়ার পর কিছু দিন বন্ধ থাকে নির্যাতন।

কয়কেমাস পর আবারো যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু হয় গৃহবধু দিলরুবার উপর। দিলরুবা আর যৌতুক আনতে পারবেনা বলে জানিয়ে  দিলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খরগ।
গৃহবধু দিলরুবা আক্তার বলনে, আমার মত হতভাগি এই পৃথবিীতে আর কেউ নেই। আমি আমার স্বামী, শাশুরী, ও শশুরের কথামতো আমার বাবার কাছ থকেে আমার স্বামীকে দুই দফায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা এনে দিয়েছি শুধু সংসার টিকানোর জন্য।

কিন্তু আমার স্বামী বারবার আমার বাবার কাছ থেকে আমাকে যৌতুক নিয়ে আসতে বলে । তাদরে নির্যাতনে আমি অতিষ্ঠ হয়েছি। তবুও সন্তানের পানে চেয়ে আমি মুখ বুঝে সব সহ্য করছি দিলরুবার বাবা দবির উদ্দিন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সম্প্রতি আমার মেয়েকে যৌতকের জন্য ওই পাষন্ডরা কঠিন ভাবে মারডাং করে।

আমার মেয়ে তাদরে অত্যাচার সইতে না পরেে অঙ্গান হয়ে পড়লে তারা আমার মেয়েকে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। আমি প্রতিবেশির কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এনে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে র্ভতি করি। র্দীঘদিন চিকিৎসার পর আমার মেয়ে সুস্থ হয়।

পরে আমি আমার মেয়েকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর জন্য তাদের হাতপায়ে ধরেছি কিন্তু তারা আমার কাছে আবারো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ।
দিলরুবার স্বামী সাব্বির আহম্মেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে সে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে