কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব দলিরাম মাঝাপাড়া গ্রামের ভূমিহীন নিঃস্ব ব্যক্তি লুৎফর রহমানের ২য় কন্যা মনি আক্তার (১৭) একই গ্রামের প্রত্যারক নূরল কামারের ছেলে দেলাবর হোসেন ওরফে আকাশ (২১) এর চরম হিংস্্রতার শিকার হয়ে সবকিছু হারিয়ে স্ত্রীর অধিকার ও তার ছয় বছরের কন্যা সন্তান দিলরুবার পিতার স্বীকৃতির জন্য প্রশাসনও এলাকার মহৎপ্রধানের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

এ বিষয়ে ঐ এলাকার পানের দোকানদার হেলাল উদ্দিন, আসাব উদ্দিন, আতিয়ার রহমান ও সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ খান, জানান, মনি আক্তারের বয়স যখন ১১ বছর তখন প্রতিবেশী নুরল কামারের লম্পট ছেলে দেলাবর হোসেন প্রায় তাকে কুপ্রস্তাব দিত। রাজী না হলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিত।

অবশেষে দেলাবর সুযোগ বুঝে তার পছন্দের চারজন লোকের উপস্থিতিতে বিয়ে রেজিস্ট্রির কথা বলে সবুজ রংগের কাগজে পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া মনি আক্তারের স্বাক্ষর নেয়। প্রকাশ করে যে, আমাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হলো। আজ হতে আমরা স্বামী-স্ত্রী। মনি আক্তারকে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, তোমার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের কথা প্রকাশ করা যাবে না। তার পর থেকে মনি আক্তারকে যখনেই একা পেত তখনেই স্বামী স্ত্রী দৈহিক মেলামেশা করতো।

এক পর্যায়ে অন্তসত্তা হয়ে পড়েন মনি আক্তার। তখন মনির মা ও বাবা তার মেয়ের পরিণতির কথা জানতে পারে। মনির অসহায় মা- বাবা গর্ভবর্তী মনি আক্তারকে দেলাবরের বাড়ীতে নিয়ে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।

স্থানীয় ভাবে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এফিডেভিট ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টসহ ৯/১ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নীলফামারী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৬/১৫।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করলে থানা কর্তৃপক্ষ জানান, ধর্ষক দেলাবর পালিয়ে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অসহায় ধর্ষিতা মনি আক্তার বলেন আমি আমার সন্তান দিলরুবার পিতৃত্বের অধিকার চাই,এটাই আমার জীবনের সর্ব্বোচ্চ চাওয়া। মনি আক্তার জানান দেলাবরের বাড়ীতে গিয়ে দিলরুবাকে রেখে আতœহত্যা করে জীবনের সমাপ্তি ঘটানোই ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমার। মনির বাবা বলেন, আজ আর আদালতে মামলার খরচ যোগান দিতে পারি না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে