মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২১ টি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০টি দোকান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা। ঘটনাটি আজ মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে ।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়- আনুমানিক সকাল ৬ টার দিকে বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা বাজারে কালো ধোয়া দেখতে পেয়ে কাছে গিয়ে দেখতে পায় বাজারে আগুন লেগেছে। আগুনের লীলাহিন শিখা চারদিক ছড়িয়ে পড়লে নিমিষেই বাজারের ২১ টি দোকান ভস্মিভূত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সাদাকাতের দোকানের আইপিএস থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের

ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে পড়ে। তাদের দোকানের মালামাল অন্যত্র নেয়ার চেষ্টা করার সময় প্রায় ৩০ টি দোকানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি টাকা। সাধারণ মানুষের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল, জলঢাকা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টায়

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে দোকান পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা ভেঙ্গে পড়েছে। তারা জানান- করোনা পরিস্থিতির কারণে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ সময় দোকান পুড়ে যাওয়ায় আমরা কিভাবে সংসার চালাবো। তারা সরকারিভাবে সহযোগিতা কামনা করেছে।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অফিস জানান-বড়ভিটা বাজারে ২১ টি দোকান পুড়ে গেছে। কিছু দোকানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
বড়ভিটা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলার রহমান জানান- প্রত্যক্ষদশর্ীদের ভাষ্যমতে সাদাকাতের কাপড় দোকানের আইপিএস থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ২১ টি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩০-৩৫ টি দোকান।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগম জানান- উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা শুকনা খাবার বিতরণ করছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট জানান- শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের তরফ হতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে