কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ নীল নব ঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে, ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।’হ্যাঁ, পঞ্জিকার পাতা অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল।যদিও এখন রোদ আর বৃষ্টির খেলা চলছে। করোনার আঁতুড়ঘরে অন্য ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করলেও বছরের অন্য সময় বসে থাকা ছাতার কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।   

বর্ষাকালে আপামর জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র পাথেয় বস্তুটির নাম হলো ছাতা।আর বর্ষাকাল শুরু থেকে ছাতার কারিগররা নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে গ্রামঞ্চলে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামত করছেন।এই ছাতা গ্রীষ্মেও যেমন দরকার তেমনি বর্ষাতেও এর প্রয়োজন আরও বেশি।তাই সারা বছর ঘরে তুলে রাখা ছাতার ছোট -খাটো, রোগ -বালাই  সারছেন ব্যবহারকারীরা। রোদেলা তাপ বা বৃষ্টির ধারা থেকে মুক্তির জন্য ছোট এই বস্তর প্রয়োজনটা যে কত তা মৌসুমেই বলে দেয়। আগের আমলে কাঠের হাতলের ছাতা থাকলেও হাল আমলে ছাতার হাতল ও কাপড়ে বৈচিত্র এসেছে। ছোট্ট সাইজের ছাতা, স্কুল ব্যাগ,ভ্যানিটি ব্যাগ কিংবা প্যান্টের পকেটেও রাখা যায়। যত বৈচিত্রময় হোক ছাতা উল্টে গেলে, কাপড় ছিঁড়লে বা সেলাই খুলে গেলে ছাতা কারিগর ছাড়া কোনো উপায় নেই।বর্ষা মৌসুমে যেহেতু ছাতার ব্যবহার বেড়ে যায়, তেমনি কারিগরদের কাজের রেটও বেড়ে যায়।

সদর ইউপি’র মুসা গ্রামের  ছাতার কারিগর কাশেম আলী জানান, প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ফলে ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং, কামান প্রভৃতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। এই সময়টায় কিছু কাজ হয়। আর অন্য সময় বিকল্প পেশায় জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। প্রতিদিন গ্রামাঞ্চল ঘুরে ৫শত থেকে ৮শত টাকা পর্যন্ত আয় হয়। ছাতা মেরামত করতে আসা উপজেলার উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের  ষাটোর্ধ্ব  মমতাজ আলী জানান,একসময় দল বেঁধে জীবিকার তাগিদে ফরিদপুর, মাদারীপুর জেলার ছাতার কারিগররা আমাদের এলাকায় এসে বাসাভাড়া নিয়ে পুরো বর্ষাকাল  কাটিয়ে আয় রোজগার করে চলে যেত। সেই ছাতার কারিগরদের আর চোখে পড়ে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে