কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী): করোনা মহামারির কারনে সরকার ঘোষিত সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনা থাকলেও নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট স্কুল এবং প্রাইভেট-কোচিং সেন্টার গুলো।


ফলে এতে করোনা‘র ঝুকিতে রয়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের অনেক শিক্ষার্থী। গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর/২০২০ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রাইভেট স্কুল ও কোচিং গুলো সরেজমিনে গিয়ে দেখা দেখা গেছে মিলিনিয়াম স্টার একাডেমী, ফ্রেন্স কোচিং সেন্টার, দারুক নাজাত মাদ্রাসা,কিশোরগঞ্জ পাবলিক স্কুল, দি নিউ রেসিডেন্টসিয়াল, ফিউচার কেয়ার একাডেমী, ইউনিভার্সাল স্কুল এন্ড কলেজ, সাকসেক্স কোচিং সেন্টারসহ নামে-বেনামে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রাইভেট-কোচিং বানিজ্য।
জানাগেছে যে উপজেলায় ৬০টিরও বেশী কিন্ডার গার্ডেন স্কুল রয়েছে এর মধ্যে ৪০টিরও বেশী স্কুল প্রাইভেটে কোচিং সেন্টার গুলো সরকারী আইন না মেনে তাদের ইচ্ছা মাফিক স্কুল প্রাইভেট কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদরে প্রায় ১০টি কেজি স্কুল ও প্রাইভেট কোচিং সেন্টার সরকারি আইন অমান্য করে গোপনে তাদের স্কুল ও কোচিং বানিজ্য করতেছে।


এদিকে গত ১৭/১১/২০২০ইং তদারিখে প্রথম তৃতীয়, পঞ্চম ও অস্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট ও কোচিং ক্লাস চলাকালিন সময় কিশোরগঞ্জ সোনামনি আইডিয়াল স্কুলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান সকাল ৯.৪৫ মিনিট গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বাসিয়ে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৫৯ ধারা মোতাবেক ২০.০০০(বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করেন এবং বিদ্যালয়ের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। অথচ একই সময় কয়েকটি প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার দেদাচ্ছে চালাচ্ছিল। এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভুমি) মেহিদি হাসান এর সাথে মুঠোফোনে কথা তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট কোচিং চালাচ্ছে আমাদেরকে জানালে তাৎক্ষানিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে