কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার এতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘নিতাই উচ্চ বিদ্যালয়। যে বিদ্যালয়টি এলাকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন, শিক্ষানুরাগী মকবুল হোসেন। বিদ্যালয়টির ইনডেক্্র নং- ১২৪৯৯৫।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম রংপুর শহরে অবস্থান করে সেখান থেকে দুপুর ১২ টা ১ টার দিকে বিদ্যালয়ে আসেন। মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ের কাজের কথা বলে রংপুরে নিজ বাসায় অবস্থান করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। এতে সময় সূচী অনুযায়ী পাঠদান হয় না।

এ কারনে বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকেন। যার ফলে শিক্ষার মান নি¤œমুখী হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তার একমাত্র কারণ, তিনি কৌশল অবলম্বন করে পরপর তিনবার এডহক কমিটি গঠন করে বিদ্যালয় নিজের খেয়াল খুশিমত চালাচ্ছেন। যা দেখার কেউ নাই। এডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি প্রধান শিক্ষকের হাতের পুতুল হওয়ায়। প্রধান শিক্ষক সভাপতিকে নিয়ে নিজের মনের মতো করে রেজুলেশন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মন রক্ষা করে চলছেন।

এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জনাব তৌহিদুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কখনো কোন নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয় নাই। আমার বাবা এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় ২০১৯ সালে অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষকদের অনুরোধে সকলের সমযোগিতায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তবু ও প্রধান শিক্ষক ও আসাদুল সিন্ডিকেট তাদের মনগড়া তৈরী করা ভূয়া ভোটার লিস্ট সাজিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করে ভোট স্থগিত করেন।

আমি আদালতে ওদের মামলা ভূয়া প্রমাণ করি, বিজ্ঞ আদালত মামলা খারিজ করে নির্বাচনের নির্দেশ দেন। নির্বাচন হলে আমার ফুল প্যানেল নির্বাচিত হয় দিনাজপুর বোর্ডের সর্বকনিষ্ঠ নির্বাচিত সভাপতি হই। করোনা ভাইরাসের শেষের দিকে আমার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তারপর আবার ও প্রধান শিক্ষক ও আসাদুল সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়।

প্রধান শিক্ষক কৌশল ঘাটিয়ে করোনার দোহাই দিয়ে এবারসহ পরপর তিনবার এডহক কমিটি দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। তাদের কাছে অভিভাবকরা বারবার নির্বাচনের বিষয় প্রশ্ন করলে নির্বাচনের কথা না বলে আমার দোষ ও অনিয়মের বাক্স নিয়ে বসে।

উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার একটা জাস্টিজ প্রোপোজ বিদ্যালয় শৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অভিভাবকদের ভোটের মাধ্যমে একটি নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা জরুরী বলে এলাকাবাসীর দাবী। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জানান, নিয়মিত কমিটি করা মানেই বিস্তর ঝাক্কি ঝামেলা। নির্বাচনের ভিতর দিয়ে কমিটি করতে হলে প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের টাকা ব্যয় হয়।

এ কাজে দ্বন্ধ, ফ্যাসাদ নেহাত কম নয়। কমিটি নিয়ে মামলা- মোকদ্দমার ঘটনা ঘটে। সভাপতির নির্বাচন নিয়ে বিরম্বনার শেষ থাকে না। নানা টালবাহনা কথা বলে প্রধান শিক্ষক করোনাকালে পরপর তিনাবার এডহক কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠান চালানোর কথা জানালেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুরের উপ-পরিচালক মোঃ আখতারুজ্জামান ও নীলফামারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত কমিটি করার জন্য জোর তাগিদ দিতে হবে। ২ বারের বেশি এডহক কমিটি করা যাবে না। বিধি বহিভূত কমিটির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুরের পরিচালক, প্রফেসর এস.এম আব্দুল মতিন লস্কর জানান, এডহক কমিটি দিয়ে ২ বারের বেশি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে না। তারা কিভাবে পরপর তিনবার এডহক কমিটি দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। বিষয়টি দেখতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে