NYALA pic

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮ই মার্চ১৬)- আ,ফ,ম,মহিউদ্দিন শেখ (কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী  প্রতিনিধি):
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলার তিন ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় ৯ম শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রী গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ও রণচন্ডি ইউনিয়নের মেলাবর বুড়িরশিল ও জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায়। সরেজমিনে গিয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মান্নান ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, বিকালে ইউসুফিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ক্লাশ শেষে বাড়ী ফেরার পথে বড়ভিটার টটুয়ার ডাঙ্গা এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে মেলাবর বুড়িরশীল এলাকার একটি ভুট্রা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে কয়েকজন ধর্ষণ করে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি সেখান থেকে উঠে পার্শ্ববর্তী একটি ক্যানেলে ধর্ষণের কারণে রক্তাক্ত অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য তার পরণের পায়জামা ধোয়ার সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। নিজের লজ্জা এড়াতে মেয়েটি উপস্থিত লোকদের দেখে মুখে ঘোমটা দিয়ে মুখ লুকায়। পরে কয়েকজন মহিলা মেয়েটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পার্শ্বের একটি বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং একটি পায়জামা পড়তে দেয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মান্নান মেয়েটির কাছে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে মেয়েটি আবার জড়ো সরো হয়ে আবার মুখে ঘোমটা দিয়ে ভূয়া পরিচয় দেয়। কিন্তু অনেক চাপ প্রয়োগের পর মেয়েটি ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। মাদ্রাসা সুপারের মাধ্যমে মেয়েটি পরিচয় নিশ্চিত হলে মেয়ের বাবা জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের টটুযাপাড়ার মহিদুল ইসলাম ও ফতেপাড়ার মেয়ের নানা মনসুর আলীকে খবর দেয়া হয়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে সাথে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বিছানা নং-১০, ওয়ার্ড নং- ১২(গাইনি বিভাগ), ০৪তলা। মেয়েটির নানা মনসুর আলী কেঁদে কেঁদে জানান, ধর্ষণের শিকার আমার নাতনীর ১৪ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি তার নানাকে জানান,ঘটনার সাথে জড়িত “ভাই ভাই” নামীয় নীলরঙয়ের কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালপুকুরের ভাড়ায় চালিত পিকআপের চালক রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাকুড়ী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে মারেফুল ইসলাম (৩০) ও একই এলাকার সফি মিয়ার ছেলে হেলপার সাইফুল ইসলাম ছোট (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন মিলে তাকে হাত,মুখ, ও চোখ বেঁধে পিকআপে করে নির্জন একটি ভুট্রা ক্ষেতে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। তার নানা সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে এসব কথা বলেন। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহজাহান আলী জানান, দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে