মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মোনারুলের স্ত্রী আবেদা বেগমের ছাগল চুরি করার সময় সোমবার বিকাল ৩ টার সময় হাতেনাতে ঐ ছাগল চোরকে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে ছাগল চোর ও ছাগলটি সদর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ান পরিষদের একটি কক্ষে কামারপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে রব্বানী (২৪) উরফে আনন্দ বাবু নামে একটি ছেলে একই গ্রামের আবেদা বেগম নামে একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যাবার সময় তাকে হাতে নাতে আটক করে এলাকাবাসী। পড়ে কিশোরগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার নূর- ইসলাম সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি জরুরী পার্টিকে পাঠায় দিচ্ছি।

সেখানে তাতক্ষনিক ভাবে উপস্থিত হন যদুমনি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন উরফে দিলু ঢাংগা নামে এক রাজনৈনিক নেতা তিনি চোরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোর প্রক্রিয়া চালান কিন্তু তার চেষ্টা বিফল করে দেন উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু তার সাথে দিলু ঢাংগা বাকবিদন্তায় সৃষ্ঠি করেন। কিন্তু এলাকাবাসী রবিউল ইসলামের পক্ষে ছিল তাই দিলু ঢাংগার চেষ্ঠা করে ফল হয়নি। পড়ে এলাকাবাসীর নানান কথা বার্তা শোনা যায় কেউ কেউ বলছে দিলু ঢাংগা মনে হয় বাদীনিকে হুমকি, ধামকি দিয়েছে, যদি সে ছাগল চোরের নামে কোন অভিযোগ করেন তাহলে যেখানে বাড়ী করে রয়েছেন সেখানে আর তার থাকা হবে না। কারণ জমিটুকু তার। পড়ে বাদীনি অভিযোগ না করার কারণে তার কাছ থেকে লিখিত নেন এস আই তালেব হোসেন। সে সময় সদর ইউপির বানিয়াপাড়া গ্রামের অটোবাইক ড্রাইভার দুলাল চন্দ্র বলেন আজ থেকে ১০ দিন আগে তার অটোবাইকে করে একটি ছাগল তাঁরাগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে গিয়ে রব্বানী উরফে আনন্দ বাবু বিক্রি করতে নিয়ে যায় এবং তাকে ৮০ টাকা ভাড়া দেয়।

কামারপাড়া গ্রামের এলাকাবাসী কৃষ্ণ চন্দ্র, চেমরু, লিটন, দুখু মিয়া, শিয়ালু, বাঁশি রায়, আব্দুল ওয়াদুত, মিলন, আব্দুল আউয়াল, আশরাফ, স্বজিব, দুলাল সহ অনেকের প্রায় ৩০টির উপরে ছাগল এর আগে হারিয়ে যাওয়ার কারণে তারা ইউনিয়ন পরিষদে সকলে ঐ চোরের বিচারের দাবীতে তারা ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করে। জরুরী দায়িত্বে থাকা এস আই তালেব সন্ধার দিকে কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। কিন্তু সেখানে চেয়ারম্যান ঢাকায় থাকার কারণে তিনি কোন সীদ্ধান্তে আসতে পাড়ছিলেন না। তবে সদর ইউপির চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে বিমানে আসতেছেন বলে সময় নেন।

কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (গ্রেনেট বাবু) বলেন আমি চোরের পক্ষে সাফাই গাইতে পারবো না। পড়ে তিনিও এলাকাবাসীর পক্ষে রায় দেন।

কিশোরগঞ্জ থানার এস আই তালেব হোসেন ছাগল চোর ও ছাগল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে