মোঃ গোলাম মাওলা, কাঠালিয়া ঝালকাঠি প্রতিনিধি:  কাঠালিয়া উপজেলার ৫৩নং মধ্য শৌলজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহিন মাস্টারের উপরে তার কাছে পাইভেট না পরে অন্য শিক্ষিকার কাছে প্রাইভেট পড়ার অপরাধে ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির ৫ম শ্রেণীর ছাত্র নাঈমের মা খাদিজা জানান, ১ডিসেম্বর আমার ছেলে নাঈমকে শাহিন মাস্টার মারধর করেছেন, কানের উপরে থাপ্পড় মেরেছেন গলা চেপে ধরেছেন। এতে আমার ছেলে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আমুয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দি, তাতে নাঈমের অবস্থা উন্নতি না হলে কাঠালিয়া উপজেলার ডাক্তার দিলীপকে দেখাই। দিলীপ ডাক্তার দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যেতে বলেন। আমরা গরীব মানুষ কিভাবে বরিশাল নেব, আমি এর বিচার চাই।

বিদ্যালয়ের অন্য এক শিক্ষার্থী সামিয়া জাহান তমার মা তাসলিমা আক্তার সুমি জানান, শাহিন এবং তার স্ত্রী সাদিয়া একই বিদ্যালয় চাকরি করে আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন। যেই ছাত্র ছাত্রী তাদের কাছে প্রাইভেট না পড়ে অন্য শিক্ষিকার কাছে প্রাইভেট পড়ে, তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করেন। তেমনি আমার মেয়ে তাদের কাছে প্রাইভেট না পড়ে শিল্পী ম্যাডামের কাছে প্রাইভেট পড়ার কারণে মারধর করেছেন শাহীন মাস্টার।

শুধু এতেই শান্ত নয় শাহীন মাস্টার। প্রাইভেট না পড়ার অপরাধে তার মারধরের শিকার হয়েছে শৌলজালিয়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ৪র্থ শ্রেনির ছাত্র নাজমুল, উত্তর কচুয়া গ্রামের টুটুল মিরার মেয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মিম। এবং আরো অনেক ছাত্র-ছাত্রী। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করে বিচার পাননি ভুক্তভোগীরা।

অন্যদিকে টেন্ডার হবার পরে একই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলাম বিক্রির পর, মালামাল চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী অমরেশের উপরে।

পুরাতন ভবন নিলাম ক্রেতা মোস্তফা জানান, আমি যেই পুরাতন ভবনের মালামাল দেখে নিলাম কিনেছি, এসে দেখি সেই মালামাল নেই। বিদ্যালয়ের সকলের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা এ বিষয়ে কিছু বলেননি। পরবর্তীতে শুনতে পেরেছি অমরেশ মালামাল বিক্রি করে দিয়েছে। যেদিন অমরেশ মালামাল বিক্রি করেছেন সেদিনকার স্কুল মাঠে খেলতে থাকা লোকজন অমরেশের ছবি তুলে রেখেছিলেন, ছবিতে দেখা যায় অমরেশ মালামাল অটোতে তুলে দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে আফজাল হোসেন শাহীন মাস্টারের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি বলেন আপনি কিসের সাংবাদিক কোন পেপারে লেখেন আপানার যদি কিছু যানার থাকে তাহলে কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাছে জানেন। অমরেশের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। অমরেশের মেয়ে জানান আমার বাবা কাজের জন্য ঝালকাঠিতে গেছেন।কাঠালিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সুলাইমান হোসেন বিষয় জানতে চাইলে তার মুখে ফোনে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে