যেসব ভবনের সুয়ারেজ লাইন বিভিন্ন লেক ও খালে যুক্ত করা হয়েছে সেসব লাইনে কলাগাছ ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। খাল ও লেকের দূষণ রোধে আগামী শীত মৌসুম থেকে এমন অভিযানে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করে এমন কথা বলেন মেয়র আতিক। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষ্যে সেখানে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন তিনি।

ঢাকায় মাছ চাষের উপযোগী কোন খাল বা লেক পান না আক্ষেপ করে মেয়র আতিক বলেন, গত বছরই আমরা মাছের পোনা ছাড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটা খাল বা লেক পাইনি যেখানে পোনা ছাড়া যায়। হাতিরঝিল, বনানী লেক, গুলশান লেক, বারিধারা খাল; কোনোটিই মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত না। পানিতে অ্যামোনিয়া। এই অ্যামোনিয়া এসেছে আবসিক ভবনের বর্জ্যের লাইন থেকে।

তিনি বলেন, মিরপুর বা অন্য কোন এলাকার কথা বাদ দেন; গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকার ভবনেরও সুয়ারেজ লাইন দেওয়া হয় খালে, লেকে। অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটের দাম ৫০ কোটি টাকা আর সেই ফ্ল্যাটের কানেকশন গুলশান লেকে, বনানী খালে এবং বারিধারা খালে। আমি আগামী শীত মৌসুমে এসব লাইনে কলাগাছ ঢুকিয়ে দেব। যখন নিজেদের বাড়িতে ওভার ফ্লো হবে তখন সবাই বুঝবে।
তিনি আরও বলেন, ওয়াসা বা সিটি কর্পোরেশনের লাইনে কোনো বাসার সুয়ারেজ লাইন দেওয়া যাবে না। নিজেদের বর্জ্যের ব্যবস্থা তাদেরকেই করতে হবে। অনেক আধুনিক ব্যবস্থা এসেছে, ১০-২০ লাখ টাকা খরচ হয় সর্বোচ্চ।  

মাছ চাষ করা গেলে মশা কমতো উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মাছের খাবার কিন্তু মশা। লেকে, খালে মাছ চাষ করতে পারলে মশাও নিধন হতো। কিন্তু আমরা সেই মাছ চাষ করতে পারি না। ভাতে মাছে বাঙালি- এটাই আমাদের গৌরব।  সেই ঐতিহ্য চলে যায়, যখন দেখি খাল দখল হয়, বিদেশ থেকে মাছ আমদানি করতে হয়।  
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজে যুক্ত হন। তিনি গণভবনে নিজে মাছ ধরেন। কিন্তু এখন আমরা বড়শি ফেললে মাছ পাই না। কোনো পুকুর-খাল পাইনি মাছের পোনা ছাড়ার জন্য।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে