জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ দিনমজুর সাইদুর প্রধান(৪০)। স্ত্রী ও ৪ ছেলে নিয়ে তার সংসার। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি সে। প্রায় দুই বছর আগে গাছ থেকে পড়ে ডান পা এবং ডান হাত ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে অসহায় ও অভাবে জীবনযাপন করে পরিবারটি। এমনকি টাকার অভাবে ভাঙ্গা হাত-পায়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না সাইদুর। তার এই দুঃসময়ে পাশে দাড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার ৭ অক্টোবর বেলা ১১টায় নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার কলেজ পাড়ায় দুঃস্থ পরিবারটিকে পা-চালিত একটি সেলাই মেশিন প্রদান করেন ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারুন-অর রশিদ, দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানিয়া পারভীন, সাংবাদিক আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি), শিক্ষার্থী আজরা সাদিয়া বিনতে নূর ও সুমাইরা নূর।
সেলাই মেশিনটি পেয়ে নিজের চোখের পানি আটকিয়ে রাখতে পারেনি সাইদুর। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ দুই বছর হাত-পা ভেঙ্গে অসহায় ভাবে জীবনযাপন করছি। টাকার অভাবে ভাঙ্গা হাত-পায়ের চিকিৎসা করাতে পারছিনা। স্ত্রী লাভলী বেগম আশেপাশে বাসায় ‘ঝি’ ও বড় ছেলে ডাবলু (২০) রেলঘুন্টির মোড়ে ফলের দোকানে কাজ করে কোনো মতে সংসার চালাচ্ছিল। ইউএনও স্যারের দেয়া সেলাই মেশিনটা আমার স্ত্রী চালিয়ে কিছু বেশি আয় করতে পারবে বলে, এতে বেঁচে থাকার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম বলেন, দৈনিক কালের কন্ঠের ডোমার প্রতিনিধি আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি কাছে পরিবারটি কথা জানতে পারি। খোঁজ নিয়ে আজ পরিবারটিকে একটি পা-চালিত সেলিম মেশিন প্রদান করি। এতে পরিবারটির একটি আয়-উপার্জন বেশি হবে। তিনি বলেন, এরকম একটা দুঃস্থ পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। তিনি পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তশালীদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে