করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ তিনজন ও নারী ১১ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন ও বাসায় একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৬৮৮ জনে।

একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৮১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৯ জনে।

এর আগের দিন (৯ অক্টোবর) এতে ২০ জনের মৃত্যু হয় ও আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ৪১৫ জন। সেই হিসাবে একদিনের ব্যবধানে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে,বিপরীতে কমেছে মৃত্যু।

রোববার (১০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সারাদেশের ৮২১টি সরকারি-বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৯৫২ জনের নমুনা সংগ্রহ ও ২০ হাজার ৩৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে ৪৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর আগের দিন (৯ অক্টোবর) শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ১৯৬টি। এতে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৯ জন। মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৯৯ জন। এ নিয়ে মহামারি থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৩ জন।

বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকায় সাতজন, চট্টগ্রামে একজন, রাজশাহীতে দুই, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন, সিলেটে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। তবে এদিন রংপুর বিভাগে কেউ মারা যাননি।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪ জনের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ তিনজন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন ও সত্তরোর্ধ্ব একজন মারা গেছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে