গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে  আরও ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৮৪৬ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫২৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩ জনে। মৃত ১১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন ও নারী ৬১ জন।       

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৪৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ চার হাজার ৩৭০ জন।      

সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৬টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৯৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ২৯৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ শতাংশ ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে চার জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, বরিশাল বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে পাঁচজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৯২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ জন ও বাড়িতে সাতজন মারা গেছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩৮ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১১ জন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।    

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ২৫১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৮৭৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৬১ হাজার ২৪৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৯৮ হাজার ৮৫৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬২ হাজার ৩৯০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে