34_5837

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ করল্লা চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছে নীলফামারীর কৃষক। এতে একদিকে যেমন বাজারে সব্জীর যোগান বাড়ছে অপরদিকে কৃষকরাও পাচ্ছে বাড়তি আয়ের সুযোগ। কৃষি বিভাগের সহযোগীতা পেলে করল্লা চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নীলফামারীর প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই করল্লা সব্জী চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা, সৈয়দপুর, ডোমার ও কিশোরগঞ্জে করল্লা চাষের জমির পরিমান সবচেয়ে বেশী।

নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের আরাজি গ্রামের এমনি এক করল্লা ক্ষেতের মালিক ননী গোপাল। পেশায় শিক্ষক । কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান,আমার দেড় একর জমি প্রায় পতিত থাকতো।এতে অন্যান্য ফসল তেমন হতো না। আমার এক আত্মীয়ার পরামর্শে সেখানে এবার করল্লা লাগিয়েছি। ভালই ফলন হয়েছে। পার্শ্ববর্তী খানসামা উপজেলার ওই আত্মীয়ার পরামর্শে যৌথভাবে করল্লা চাষ শুরু করি। দেড় একর জমিতে তিত করল্লার চাষ করতে সব মিলে প্রায় ৭০হাজার টাকা খরচ হয়। এ যাবত প্রায় ১শ মণ করল্লা ৮০হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখনো লক্ষাধিক টাকার বেশী বিক্রির আশা করছি। তিনি আরো জানান, স্থানীয় পাইকাররা ক্ষেত থেকে করল্লা কিনে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। বাইরের পাইকার সরাসরি আসলে দাম আরো বেশী পাওয়া যেত। তার এই করল্লা চাষের প্রধান আকর্ষণ হলো রাসায়নিক সার কম প্রয়োগ করে পরিবর্তে জৈব সার ব্যাবহার করা। কৃষি বিভাগ থেকে তিনি এযাবত কোন সহযোগীতা পাননি বলে জানান। আগামী বছর আরো এক একর জমিতে করল্লা চাষ বৃদ্ধির পরিকল্পনা আছে তার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে