২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে এয়ারপোর্ট-গাজীপুর রুটে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) করিডোরের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম।  

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিআরটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পের এখন পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশিমক ২৭ শতাংশ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হবে। তবে কিছু বাড়তি সময় হাতে নিয়ে আমরা এটাকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর বলছি। এর মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে গেলে এবং ভৌত অবকাঠামোগুলো হাতে বুঝে পেলে তখন থেকেই বিআরটি তার অপারেশন চালু করতে পারবে।

বিআরটি শুরুতে ১০০টি বাস নিয়ে চালু হবে উল্লেখ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কনসালট্যান্টরা বলেছেন যে, ১২৯টি বাস দরকার। তবে ১০০টি বাস নিয়ে বিআরটি সেবা চালু করা সম্ভব। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। গাজীপুর-এয়ারপোর্টের এ সড়কে বিআরটির মাধ্যমে উভয় দিকে ঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। এখন যে প্রচলিত ভাড়া রয়েছে শুরুতে বিআরটিতে একই ভাড়া রাখা হবে। তিন ধরনের বাস রাখা হবে- প্রিমিয়াম যারা ভিআইপি ধরনের বা আরামে যাতায়াত করতে চান, এভারেজ – এটা এসি বাস এবং নন-এসি – যারা আর্থিকভাবে একটু পিছিয়ে আছেন তাদের জন্য। প্রতি ৮০০ মিটার পর পর স্টেশন থাকবে। তাই স্টেশনগুলোও হাঁটা দূরত্বে।

যাত্রীদের জন্য শাটল সেবাও থাকবে উল্লেখ করে বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল বলেন, গাজীপুর থেকে উত্তরা বা এয়ারপোর্ট এসে একজন যাত্রী অন্য কোথাও কীভাবে যাবেন বা অন্য স্থান থেকে আমাদের এখানে কীভাবে আসবেন তার জন্য আমরা শাটল সার্ভিস ও রেখেছি। যেমন গাজীপুর থেকে একজন যাত্রী উত্তরা হাউসবিল্ডিং নেমে আমাদের শাটল সার্ভিসে করে এমআরটি-৬ অর্থ্যাৎ উত্তরা থেকে কমলাপুরগামী মেট্রোরেলে উঠতে পারবেন। আমরা একই ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা করতেছি। এর মাধ্যমে প্রথমে এক টিকিটেই বিআরটি এর সব বাসে এবং পরবর্তীতে সেই টিকিট দিয়ে এমআরটিতেও ভ্রমণ করা যাবে।

এদিকে চলমান এ কাজের জন্য রাজধানী-গাজীপুর সড়কের উভয় অংশে সৃষ্ট যানজট নিরসনে প্রয়োজনে নকশায় পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেন শফিকুল ইসলাম। এর জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বসে সমন্বয় করা হবে।

তিনি বলেন, নকশায় তেমন কোনো ত্রুটি নেই তবে অবস্থা বিবেচনায় কিছু অসঙ্গতি থাকতে পারে। এজন্য আমরা দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বসে, আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। তাদের পরামর্শ শুনে প্রয়োজনে নকশায় পরিবর্তনও করা হতে পারে।

প্রকল্পের অধীনে বিআরটি করিডোর ২০ দশমকি ৫ কিলোমিটার, ফ্লাইওভার ছয়টি, এলিভেটেড সড়ক ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার, সংযোগ সড়ক ১৪১টি, মার্কেট উন্নয়ন ১০টি, স্টর্ম ড্রেন ১২ কিলোমিটার, আটলেন বিশিষ্ট টঙ্গী সেতু, গাজীপুর বাস ডিপো, জয়দেবপুর বাস টার্মিনাল ও এয়ারপোর্ট বাস টার্মিনাল এবং পিপিপি ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণের কথা রয়েছে। মোট স্টেশন হবে ২৫টি। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক চার হাজার ২০০ কোটি টাকা।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে