ডেস্ক রিপোর্ট :  গত বেশ কয়েক দিন ধরেই ভেতরে ভেতরে কিছু একটা ঘটতেছিলো। বোধ হয় মনের সঙ্গে অনেকটা লড়াই করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শেষ পর্যন্ত নিজ থেকেই সরে দাঁড়ালেন। বিসিবিকে বললেন তাকে যেন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা না হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মাশরাফির এমন অনুরোধ ফেলতে পারেনি। লুফে নেয় ভালোভাবে। তাতে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির লিস্ট থেকে কাটা গেল মাশরাফির নাম।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মাশরাফিকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা, না রাখা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বেশ চাপে ছিল বিসিবি। দফায় দফায় এ নিয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। সেজন্য সব কিছু ঠিকঠাক করেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেনি বোর্ড। তবে মাশরাফি নিজ থেকে সরে যাওয়ায় অনেকে অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার এমনটা কল্পনাও করেননি।

যদিও মাশরাফির এমন অনুরোধ আরেক ক্রিকেটারের জন্যই। তিনি না-কি আরেক জনকে জায়গা করে দিতে নিজের নাম কাটতে বলেছেন। তবে জানা গেল তার চেয়ে ব্যতিক্রম খবর, খানিকটা অভিমান নিয়েই মাশরাফি নাকি বিসিবি কর্তাদের বলে দেন তার নাম বাদ দিতে। যার সারমর্ম ছিল অনেকটা এমন, ‘এক কাজ করেন, আমার নামটাই কেটে দেন। আর আমি না থাকলে তো আরেকজন ক্রিকেটার সুযোগ পাবে।’

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও এমন আভাস দিয়েছেন। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিসিবি কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির না থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমকে অবহিত করে বলেন, ‘মাশরাফি অনুরোধ করেছেন, তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না রাখতে। তার বদলে আরেকজনকে চুক্তির আওতায় আনার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ওয়ানডে অধিনায়ক। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতেই এবার কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকবেন মাশরাফি।’

উল্লেখ্য, বিসিবির সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে মাশরাফি ছিলেন ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে। যেখানে তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতি মাসে পেতেন ৪ লাখ টাকা করে। এই ক্যাটাগরিতে মাশরাফি ছাড়াও ছিলেন আরও চারজন। এরা হলেন-সাকিব, মুশফিক, তামিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এক বছর নিষেধাজ্ঞার কারণে অনুমিতভাবেই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন সাকিব।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে