azhar_cric

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানই হাসল জয়ের হাসি। এশিয়ার প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টে মিসবাহ-উল হকের দল ৫৬ রানে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

টেস্ট ম্যাচ যে এখনও তার রোমাঞ্চ হারায়নি, তা আরও একবার প্রমাণিত। সাঈদ আজমলের টুইটও বলছে সেই কথা, ‘চরম রোমাঞ্চকর। কে বলছে টেস্ট ম্যাচ তার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে? পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো আমাদের সকলকেই বিনোদিত করছে!’

দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৪৬ রান। ড্যারেন ব্রাভো দারুণ এক সেঞ্চুরি করে আশা জাগালেও ২৮৯ রানে থেমে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। এর ফলে ৫৬ রানের জয় পেল পাকিস্তান। সেইসঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মিসবাহ-উল হকের দল। আগামী ২১ অক্টোবর থেকে আবুধাবীতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ৩০ অক্টোবর থেকে দুই দলের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটা হবে শারজাতে।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৫৭৯ রান করেছিল পাকিস্তান। দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন আজহার আলী। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে মিসবাহ-উল হকের দল। মাত্র ১২৩ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। তবে এর পেছনের নায়ক অবশ্য দেবেন্দ্র বিশু। মাত্র ৪৯ রানের বিনিময়েই যে পাকিস্তানের ৮ উইকেট তুলে নেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ইনিংসেরই নায়ক অবশ্য ড্যারেন ব্রাভো। প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করা এই ক্যারিবীয়ান দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১১৬ রান। পাকিস্তানের বোলিং তোপে একপাশের ব্যাটসম্যানরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ঠিক সেই মুহূর্তেই ৪০৬ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৪৯ বল মোকাবেলা করে ধৈর্যশীল এই ইনিংস উপহার দেন। আর ব্রাভোর-বীরত্বেই ভিন্ন ফল লাভের আশায় বুক বাধতে শুরু করে দিয়েছিলো ক্যারিবীয়ান সমর্থকরা।

কিন্তু নিজের বোলেই দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কাটা হয়ে থাকা ব্রাভোকে সাজঘরে ফেরত পাঠান ইয়াসির শাহ। এই উইকেটের উদযাপনটাই বলে দিচ্ছিল ম্যাচ জেতাটা যেন পাকিস্তানের কেবলই সময়ের ব্যাপার। এরপর বিশু, গ্যাব্রিয়েলরা তো দাঁড়াতেই পারেননি। ৪০ রান করে এদিন অপরাজিত ছিলেন জেসন হোল্ডার।

এশিয়ার প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। পাকিস্তানের ৪০০তম। গোলাপী বলে আজহার আলীর নান্দনিক ব্যাটিং। দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ইয়াসিরের টেস্টে ১০০ উইকেট শিকারের কীর্তি। ভয়ংকর বিশুর তাণ্ডবে পথ হারিয়ে মাত্র ১২৩ রানেই গুটিয়ে যাওয়া। তারপর আবারও ব্রাভোর সাহসী ব্যাটিং-কি ছিল না পাঁচদিনের এই টেস্টে! ছিল ড্র কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সম্ভাবনাও। কিন্তু দলটা তো পাকিস্তান। ক্রিকেট বিশ্বকে সব দেখিয়েই জয়ের হাসিটা কেড়ে নিলেন তারা।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে