সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন উল্লাপাড়া আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক, সাবেক সাংসদ, পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জার সুযোগ্য কন্যা সেলিনা মির্জা মুক্তি।

বিগত কয়েক বছর ধরে একাধারে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে চলেছেন। তিনি তার সমর্থক ও অনুসারীদের নিয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সাধারন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নৌকার পক্ষে ভোট ও নিজের জন্য দোয়া চাচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, সাবেক সাংসদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জার উপজেলা জুড়ে রয়েছে অসংখ্য ভক্ত অনুসারী।

লতিফ মির্জাকে ভালোবেসে সাধারন মানুষ তার মেয়ের পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন এবং মুক্তি মির্জার জন্য দোয়া কামনা করছেন।

এছাড়া রাস্তার মোড়ে,হাট বাজারে মুক্তি মির্জার মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যানার ও পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের এক প্রবীন ব্যক্তি বলেন, লতিফ মির্জা শুধু সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া নয়, তিনি সারাদেশের মধ্যে অন্যতম একজন ব্যক্তি ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পলাশডাঙ্গা যুবশিবির গঠন করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের অসংখ্য তরুন যোগ দিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন।

দেশ স্বাধীনের পেছনে পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের ভুমিকা অপরিসীম। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা পরবর্তী সময়ে রেকর্ড পরিমান ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।

এমপি হওয়ার পর তিনি উপজেলার পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারন মানুষের খোজ খবর নিয়েছেন। উল্লাপাড়া সহ পুরো জেলাবাসী তাকে আজীবন মনে রাখবেন।

আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই লতিফ মির্জার নাম টিকিয়ে রাখতে অন্তত তার মেয়ে মুক্তি মির্জাকে মনোনয়ন দেয়া হোক।

উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক,আগামীতে উল্লাপাড়া-সলঙ্গা আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিনা মির্জা মুক্তি বলেন, আমি জন্মের পর থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বাবা ছিলেন একজন স্বচ্ছ এবং সাধারন মানুষের ভালোবাসার মানুষ। তিনি জীবদ্দশায়, রাজনীতি জীবনে নিজের জন্য কোন কিছুই করেননি।

যা করেছেন সব সাধারন মানুষ এবং দলের জন্যই করে গেছেন। আমি বাবার অনুসারি হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করি। সাধারন মানুষের মুখে লতিফ মির্জার মেয়ে মুক্তি মির্জার নাম ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাকে এমপি মনোনয়ন দেয়া হলে আমি প্রথমে উল্লাপাড়ার রাজনীতির দলকে সুসংগঠিত করবো। এলাকার উন্নয়নে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। লোভহীন রাজনীতি করি, তাই নিজের জন্য কিছু ভাবি না। এমপি হতে পারলে দলের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করব,মানুষের সেবা করে যাবো। আশা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমুলের জরিপে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে আমাকে মনোনয়ন দিবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে