ফ্রান্সে মসজিদ বন্ধ ও হিজাব নিষিদ্ধের দাবি করেছেন দেশটির রাজনৈতিক দল ‘ফার-রাইট ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ প্রধান মার্টিন লি পেন। ‘গ্র্যান্ড জুরি’ টেলিভিশন প্রোগ্রামে রোববার তিনি এ দাবি জানিয়ে বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে তার দেশে নারীদের হিজাব পরা ব্যাপক বেড়েছে। জনসমাগম স্থলে হিজাব পরা বন্ধ করতে হবে। পেন বলেন, হিজাব পরা বেড়েছে মানে এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের অনুসারী বেড়েছে। -ডেইলি সাবাহ, বিবিসি, আনাদোলু, রয়টার্স, সিএনএন।

মুসলিমদের বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বিশ্বজুড়ে সঙ্কট তৈরির জন্য ইসলাম দায়ী বলে মন্তব্য করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এনামুয়েল ম্যাক্রো। জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, ইসলাম নিয়ে ম্যাক্রোর সমস্যা কী? তার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আমার দেশে বসবাসরত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিষয়ে তো আমরা এমন আচরণ ও মন্তব্য করি না। ম্যাক্রোর মন্তব্যে মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ ফরাসি পণ্য বর্জন করছে। কুয়েতে অনেক দোকান থেকে ফরাসি পণ্য সরিয়ে ফেলতে দেখা গেছে। সেই তাকগুলো খালি রয়েছে। হযরত মুহম্মদ (স.) এর ব্যাঙ্গচিত্র শিক্ষার্থীদের দেখানোর প্রতিবাদে প্যারিসে এক শিক্ষকের মস্তক বিচ্ছিন্ন করে এক তরুণ। পরে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেশটিতে। বিতর্ক শুরু হয় সেখান থেকেই।

পেন বলেন, তারা (মুসলিম) দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। এ কারণে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করিনি। আদর্শগতভাবে আমরা যুদ্ধ শুরু করেছি ইসলামের বিরুদ্ধে। আর এ আদর্শের যুদ্ধ হলো ফ্রান্সের  শত্রুদের বিরুদ্ধে।

BSSN

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে