110

বিডি নীয়ালা নিউজ(১২ই এপ্রিল১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধিরাজশাহী):  পরিকল্পিতভাবে ইটভাটার গরম ধোঁয়া নিঃসরণে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউপির প্রায় ২৫ একর জমির ধান পুড়ে গেছে। এতে শিয়ালকোল ইউপির জোয়ালভাঙ্গা, ভদ্রঘাট ও বিলগজারিয়া গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শুধু জমির ধানই নয়, এলাকায় অবস্থিত জিগজ্যাগ ইটভাটার গরম ধোয়ার কারণে আম-কাঠাল-লিচু গাছেও মুকুল ধরেনি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বিলগজারিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাকসহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা জানান, ইএন্ডকে ব্রিক্স কোম্পানির জিগজ্যাগ ইটভাটা থেকে গত কয়েকদিন ধরে নিম্নমুখী ধোঁয়া বের হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিনের গরম ধোয়ায় তিনটি গ্রামের প্রায় ২৫ একর জমির ধান পুড়ে গেছে। তিন গ্রামের কোন ফল গাছে মুকুল ধরেনি।

কৃষক মুকুল জানান, তার ৭ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণরুপে পুড়ে গেছে। বিলগজারিয়ার বিধবা কৃষাণী নুরন্নাহার জানান, তার ২ বিঘা জমির সকল ধান পুড়ে গেছে। সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ধোয়ার কারণে আম ও লিচু কোন গাছেরই মুকুল আসেনি।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা আরও জানান, গত বছরও একইভাবে ফসল নষ্ট হয়েছিল। ইটভাটার মালিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও তা দেয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, কৃষকদের ধানের ক্ষতির বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ইটভাটা মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ইএন্ডকে ব্রিক্স কোম্পানির স্বত্ত্বাধিকারী ইব্রাহিম খলিল জানান, বেশ ক’দিন বাতাস ভারী থাকার কারণে ধোঁয়া নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ ধরণের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সকল কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ওমর আলী জানান, বসতবাড়ি কিংবা আবাদি জমির পাশে ইটভাটা গড়ে তোলার কোন নিয়ম নেই। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর যেহেতু ছাড়পত্র দিয়েছে তাতে আমাদের কিছু করার নেই। এরপরও উপজেলা কৃষি অফিসারকে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে