ডেস্ক রিপোর্ট : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে পারেনি বিকল্প ধারা, বিএনএফসহ পাঁচটি দল।রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৬ সালের আর্থিক লেনদেনের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন সোমবার জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।নিবন্ধিত ৪০ দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিসহ ৩৫টি দল তার আগেই প্রতিবেদন জমা দেয়।

জমা দেয়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট।ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, এই দলগুলো দুই থেকে তিন মাস সময় চেয়েছে।“প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ইসি সচিবালয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ফাইল উপস্থাপন করতে পারে।”

অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড একাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।

২০০৯ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনে দলগুলো আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেও তা প্রকাশ করে না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। দলের সম্মতি ছাড়া এ হিসাব প্রকাশ করা হয় না বলে তাদের যুক্তি।

তবে গত বছর আদালত অডিট রিপোর্ট প্রকাশের বিষয়ে রায় দেয়। হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, যে কোনো ব্যক্তি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন দলের সম্মতি ছাড়াই তা প্রকাশ করতে পারবে।

দে/ব

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে