করোনার এ দুর্যোগের সময় পিপিই না থাকার অজুহাতে চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বারবারই বলা হচ্ছে দেশের এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের এগিয়ে আসতে। স্বাস্থ্যকর্মীদের যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ এনে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালও। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উল্টো চিত্র।

করোনা আতঙ্কে রোগী কমে যাচ্ছে, এ অজুহাতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করে দিচ্ছেন চিকিৎসকদের। কোথাও কোথাও দেয়া হচ্ছে অর্ধেক বেতন, প্রতিবাদ করলে দেয়া হচ্ছে চাকরিচ্যুতির হুমকি। বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আয় কমে যাওয়ায় চলতে পারছেন না তারা।

১২০ ন্যানো মিটারের ক্ষুদ্র এক জীবাণুর কাছে অসহায় এখন ৫১ কোটি ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের পুরো পৃথিবী। করোনা মোকাবিলায় দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বড় সমর্থন দিতে পারে রাজধানীর প্রায় ১২০০ বেসরকারি হাসপাতাল। এখানে কর্মরত আছেন প্রায় ৬০ হাজার চিকিৎসক।

আতঙ্ক সবখানে। নিয়মিত অসুখ নিয়েও অনেক মানুষ হাসপাতালবিমুখ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী সঙ্কট। এ সুযোগে তারা শুরু করেছেন চিকিৎসক ছাঁটাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যেই কয়েকটি হাসপাতাল অর্ধেক বেতনের ঘোষণা দিয়েছে। কেউ কেউ দিচ্ছে ছাঁটাইয়ের হুমকি।


বাংলাদেশ ডক্টরস’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. নিরুপম দাস বলেন, কেউ ৫০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ অথবা ২০ শতাংশ ইত্যাদি হিসেবে বেতন কর্তন করা হচ্ছে। এই মাসে বেতন ক্লিয়ার করা হলেও আগামী মাসে বেতন দেয়া হবে কি-না নিশ্চিত নয়।

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, চিকিৎসকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, অথবা বেতনের অর্ধেক দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই এটার প্রতিবাদ হোক।

সারা বছর লাভ করলেও এই দুর্যোগের সময় আয় কমে যাওয়াটাকেই কি বড় করে দেখছেন বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা।?

বাংলাদেশ বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশানের মহাসচিব ডা. মঈনুল আহসান বলেন, প্রতি মাসে আমার হাসপাতালের স্যালারি হলো ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মেডিকেল কলেজে দেড় কোটি টাকা। এই টাকা আমি কোথা থেকে দেবো; টাকা-তো নেই।

সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা পেতে অনেক হাসপাতাল কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে