ফিল্ডিং করার সময় আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ব্যান্ডেজ বেধে আবার মাঠে ফিরেও আসেন। হয়তো মাঠে নামার চিন্তাও ছিলো না। কিন্তু দলের যখন অবস্থা খারাপ, তখন ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেন তিনি।

নেমেই ভারতের আশার পালে বাতাস দিতে শুরু করেন। এমনকি ৪৯তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওভারে তিন বলের ব্যবধানে দু’বার জীবন পেয়ে যান তিনি। ভারতীয় অধিনায়কের ক্যাচ মিস করেন এবাদত হোসেন এবং এনামুল হক বিজয়। ওই এক ওভারেই ২০ রান নিয়ে নেন রোহিত।

জীবন পেয়েও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারলেন না। একেবারে তীরে এসে তরি ডুবেছে ভারতের। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় ২০ রান। ওভারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে দুটি বাউন্ডারি মেরে বসেন রোহিত।

চতুর্থ বলটি ছিল ডট। পঞ্চম বলে আবারও ছক্কা মারেন রোহিত। জয় যেন তাদের হাতের নাগালে। শেষ বলে আর একটি ছক্কা মারলেই জয় ভারতের। কারণ, ১ বলে প্রয়োজন ৬ রানের। কিন্তু শেষ বলে মোস্তাফিজের বলে কোনো রানই নিতে পারেননি রোহিতরা। বাংলাদেশ জিতে গেলো ৫ রানে।

সে সঙ্গে ৭ বছর পর আবারও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই এবার সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লিটনের দল।

জয়ের জন্য ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্রেয়াশ আয়ারের ৮২ এবং অক্ষর প্যাটেলের ৫৬ রানের ওপর ভর করে ভারতীয়দের জয়ের লক্ষ্যে অনেকদূর এগিয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে রোহিত শর্মা আশার বাতি জালালেও জয় সম্ভব হয়নি। বরং, ৫ রানে হেরে যেতে হয়েছে তাদের।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে