ডেস্ক রিপোর্টঃ তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সংবিধান রক্ষার নির্বাচন উল্লেখ করে বলেছেন,নির্বাচন কখনোই খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল না, এখনো নেই। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করাই তার উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, , ‘নির্বাচন কখনোই খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল না এখনও নেই। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দেশে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে যুদ্ধাপরাধী খুনীদের বিচার, চুরি-অর্থ পাচারের বিচার বন্ধ করাই তার উদ্দেশ্য।’
‘একারণেই খালেদা জিয়া নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ধার ধারেন না। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বেগম খালেদা জিয়া নতুন চক্রান্তের জাল বুনছেন। অনির্দিষ্ট, অস্পষ্ট, তথাকথিত নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন তিনি’ বলেন তথ্যমন্ত্রী ।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ ঢাকা মহানগর সমন্বয় কমিটি আয়োজিত ৫ জানুয়ারি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর জাসদের যুগ্ম সমন্বয়ক নুরুল আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, এড. হাবিবুর রহমান শওকত, নাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান প্রমূখ।
‘গত তিন বছরে খালেদা জিয়া তার অবস্থান পরিবর্তন করেননি, বারবার আগুন দিয়ে গণতন্ত্র ও সংবিধান পোড়াতে চেয়েছেন’ উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ‘আগুনসন্ত্রাস ও জঙ্গি মদদদাতা খালেদা জিয়া এখনো আত্মসমর্পণ করেননি, তওবা করেননি, জাতির কাছে মাফ চাননি। তাই দেশ এখনো নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করা উচিত, যাতে নির্বাচন সামনে রেখে খালেদার নতুন চক্রান্তে দেশ বিপদগ্রস্ত না হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারাবহিকতা বজায় রাখতে যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কে অংশ নিলো আর নিলোনা তার উপর গণতন্ত্রের সার্টিফিকেট হতে পারে না। আর নির্বাচনে অংশ নিলেই অপরাধীরা দায় মুক্ত হয় না, বিচার হবেই।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে