al-council_40221

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন চলছে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া ভাষণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই তাঁর দলের প্রাণ।

আর সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট উপস্থাপনের সময় দেয়া বক্তব্যে দলের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন তার সময়ে দলে কোন ভাঙ্গন ধরেনি, কোন ইজম তৈরি হয়নি।

তিনি বলেন দলের সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করেছে এবং আওয়ামী লীগ এখন যে কোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।

আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সব আলোচনা চলছে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আবারো সাধারণ সম্পাদক থাকবেন নাকি নতুন কেউ আসবে – তা নিয়েই নেতাকর্মীদের কৌতুহল বেশি।

এছাড়া উদ্বোধনী পর্বেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন আমন্ত্রিত বিদেশী রাজনীতিকরা।

এর আগে সকাল দশটার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

সম্মেলনে যোগ দিতে বর্ণিল সাজে সজ্জিত সম্মেলনের ভেন্যু ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে সকাল থেকেই আসতে শুরু করে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা।

প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর আর প্রায় ত্রিশ হাজার ডেলিগেট সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন।

সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

বিএনপি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে তবে খালেদা জিয়া বা মির্জা আলমগীর যাবেন কি-না অথবা তাদের পরিবর্তে দলের পক্ষে কারা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাবেন সে সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু বলেননি।

তবে বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের কেউ তাতে যোগ দেননি।

অবশ্য বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ কোন দলের শীর্ষ নেতারই প্রতিপক্ষ দলের এ ধরণের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার নজির বাংলাদেশে নেই।

দলের বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিবিসিকে বলেছেন জাতীয় সম্মেলনের জন্য আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

তার মতে এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

ঢাকার প্রধান সড়ক কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ বিশেষ করে বিজয় সরণী থেকে ফার্মগেট ও শাহবাগ হয়ে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে এবারের সম্মেলনের এখন পর্যন্ত আগ্রহের বিষয় দেখা যাচ্ছে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই বহাল থাকছেন নাকি নতুন কেউ এ পদে আসছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।

কাউন্সিলরদের অনুমোদন নিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়তো দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্ত করবেন – কে হবেন প্রায় আট বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তবে সভাপতি পদ নিয়ে কোন আলোচনাই নেই কারণ দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাই মনে করেন শেখ হাসিনাকেই দলের প্রধান হিসেবে থাকতে হবে।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে