চলমান বিধিনিষেধে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারসহ আইটি পণ্য সরবরাহে বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। বুধবার (৪ আগস্ট) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা খাতের আওতায় আনা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৈঠক শেষে জানানো হয়, আগামী ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। সীমিত পরিসরে চলবে গণপরিবহন।

কোনও কম্পিউটার হার্ডওয়ারের সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র যাচাই করে চলাচলের অনুমতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়েছিল। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কখনো কখনো এটি মানা হচ্ছিল না। তাই ৩ আগস্ট সংশ্লিষ্টদের কাছে আবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা খাতের আওতায় এনে বিধিনিষেধ চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারসহ আইটি পণ্য সরবরাহ এবং সমাধানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, দেশের সব জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যমসহ এ সব খাতকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখছে।

কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সব কার্যক্রম সচল রাখতে তথ্যপ্রযুক্তির সব সেবা অনলাইনে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এ সব সেবা কার্যক্রম সক্রিয় রাখার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা হিসেবে বিবেচনা করে হার্ডওয়্যারসহ আইটি পণ্য সরবরাহকারী এবং সল্যুশন দেওয়া প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার। গতকাল সেটা ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে