ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অর্বাচীন বা দুর্বৃত্তরা এখন রাজনৈতিক নেতা হচ্ছে। ৫০ বছরের মীমাংসিত স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।সেসব নেতারাই নতুন করে ইতিহাস লিখতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০৩ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল এমএজি ওসমানী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ এ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।

নুরুল হক নুর বলেন, জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তাকে (জিয়াউর রহমানকে) বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা বলছে, জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযুদ্ধই করেনি। আবার একদল বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে কথা বলছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি।

তিনি বলেন, দেশে অসুস্থ রাজনীতি চলছে। তরুণ প্রজন্ম ও সচেতন নাগরিকদের বলবো অর্বাচীন ও রাজনীতির দুর্বৃত্তদের ছুঁড়ে ফেলে ৭১ সালের প্রকৃতি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এদেশে নতুন ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সাবেক ভিপি আরও বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক নেতারা শুধু তাদের দলীয় নেতাকে সুপ্রিয়র করতে চায়। বাকি অন্য নেতাদের সম্মান করতে চায়না। বর্তমানে ওসমানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয় না। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক জাতির জন্য আর কিছু হতে পারে না।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে দেশে ঘোষিত বাকশাল চলেছিল। এখন চলছে অঘোষিত বাকশাল। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার আজীবন শ্রদ্ধা থাকবে। ১৯৭২ সালের পরে আমি তাকে নিয়ে আলোচনা করবো না। ৭২ সালের পূর্বের তার যে ভূমিকা ছিল তার জন্য আমি তাকে আজীবন স্যালুট ও শ্রদ্ধা করে যাব। আমি তার সংগ্রামী জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিব।

আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন,গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লাইলা পারভীন বানু প্রমুখ।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে